নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন: সরব শামীম ওসমান, বাকিরা নীরব

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
| আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০১ | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৯

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক ঘোষণার পরই প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ মোট ৮জন অংশগ্রহণ করেছেন।

এ আসনটি টানা ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কবরী সারোয়ার এবং ২০১৪ ও ২০১৮ তে দেশের আলোচিত প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা একে এম শামীম ওসমান এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।

এদিকে নানা জল্পনাকল্পনার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এ আসনটিতে ভোটের লড়াইকে মজবুত করতে বিভিন্ন দলের হয়ে ৮ জন প্রার্থী লড়ছেন।

আওয়ামী লীগের হয়ে বর্তমান এমপি একে এম শামীম ওসমান, তৃনমূল বিএনপি থেকে মো. আলী হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে মো. গোলাম মোর্শেদ রনী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মো. ছৈয়দ হোসেন, জাকের পার্টির মো. মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (বি,এস,পি) মো. সেলিম আহমেদ, ন্যাশলান পিপলস পার্টি (এনপিপি) মো. শহীদ উন-নবী, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মো. হাবিবুর রহমান।

ইতিমধ্যে জমে উঠেছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী একে এম শামীম ওসমানের নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। তার নির্বাচনি নিজ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নৌকা প্রতীকে ভোট চান তিনি। ভোট চাইতে গিয়ে ভোটারদের দিচ্ছেন উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি। জনগণের কাছে তুলে ধরছেন বিগত সময়ে তাদের দলীয় সরকারের উন্নয়নের অংশীদারিত্বের কথা। তবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ব্যাপক ভোটে হারিয়ে জয় লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তার বিশ্বাস এবারের নির্বাচনে ভোটারের অংশগ্রহণ থাকবে নজরকাড়া।

এদিকে অন্যান্য দলের প্রার্থীদের এখনও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় সভা বা গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি। প্রতীক পেলেও এখন পর্যন্ত তারা কেউ ভোট চাইতেও আসছেন না ভোটারদের দুয়ারে। ফলে ভোটের লড়াই সাদামাটা হবে বলে ভাবছে সাধারণ জনতা।

সিদ্ধিরগঞ্জস্থ স্থানীয় ভোটারদের ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান ব্যতীত অন্যান্য প্রার্থীদের চেনেন না অনেকে। তাই তাদের ধারণা ভোটের মাঠে একাই গোল দিবেন শামীম ওসমান। আবার অনেকে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সুযোগ থাকতো এখানে।

চতুর্থবারের মতো শামীম ওসমানকে এমপি বানাতে সরব ভূমিকায় নৌকার প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যে যার যার এলাকায় নিজ উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন ভোটরদের দুয়ারে গিয়ে।

প্রচার প্রচারণায় নামছেন না কেনো? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তৃনমূল বিএনপির মো. আলী হোসেন জানান, আমি ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে লিফলেট দিয়ে এসেছি। আমি উঠান বৈঠক আর শোডাউন করি না। কারণ এসব এখন খায় না। তাই মানুষের দুয়ারে গিয়ে ভোট চেয়ে আসছি।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আমি সিরিয়াল অনুযায়ী প্রচার করে যাচ্ছি। ফতুল্লাটা প্রায় শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় যাওয়া হয়নি। তবে অতি শিগগিরই সেখানে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবো।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শহীদ উন নবী বলেছেন, আমাদের প্রচার প্রচারণা এখানও শুরু করা হয়নি। আগামী ২৫ তারিখের পর আমরা মাঠে নামবো। আমরাতো আর এতো বড় কিছু না, তাই ধীরে সুস্থে নামবো।

জাকের পার্টি প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেন জামাল বলেন, আমি ইতিমধ্যে গত ২১ ডিসেম্বরে সিদ্ধিরগঞ্জের ৬ নং ওয়ার্ডে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছি। বাকিগুলোতেও চালানো হবে।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী গোলাম মুর্শেদ রনি বলে, আমি সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়া অন্যান্য স্থানে প্রচার চালিয়ে আসছি। তবে সিদ্ধিরগঞ্জে ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করবো।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পার্টি (বি.এস.পি) প্রার্থী মো. সেলিম আহমেদ বলেছেন, আমাদের আসনটি অনেক বড় তাই এখনও পর্যন্ত আমি ফতুল্লা কাভার করতে পারিনি। তবে এটা শেষ হলেই সিদ্ধিরগঞ্জে যাবো।

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :