প্রেমিকের সহযোগিতায় পানিতে ডুবিয়ে স্বামীকে হত্যা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৬ | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় হাত-পা বেঁধে নদীর পানিতে ডুবিয়ে স্বামী নাঈম হোসেনকে (২০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী রেশমি খাতুনের (১৯) বিরুদ্ধে।

নাঈম উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলাম দুদুর ছেলে। স্ত্রী রেশমি খাতুন উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। প্রেমিকের নাম মাসুদ (৩৫)। তিনি একই ইউনিয়নের চর বরুয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।

বুধবার সকালে আটক নাঈমের স্ত্রী রেশমি ও তার প্রেমিক মাসুদকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ ও নাঈমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর রাতে রেশমি খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য মতে নাঈমের মরদেহ পার্শ্ববর্তী জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকার যমুনা নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাঈম হোসেন ও রেশমি তিন মাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। গত ১৯ ডিসেম্বর নাঈম তার চায়ের দোকান বন্ধ করে স্ত্রী রেশমির সাথে শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে নাঈমকে নিয়ে রেশমি বিকালে ঘুরতে বের হয়। রাতে রেশমি বাড়িতে গিয়ে জানায় তার স্বামী চলে গেছে। তারপর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

গত মঙ্গলবার বিকালে নাঈমের বাবা শফিকুল থানায় এসে জানায় তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে পুলিশ রামাইল গিয়ে রেশমিকে আটক করে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে কথিত প্রেমিক মাসুদকে গোপালপুর থেকে আটক করে। তাদের তথ্যমতে, নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, রেশমি এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় আশক্ত ছিল। সে স্বামী নাঈমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এর আগে স্বামী নাঈমকে হত্যা করতে পরিকল্পনা অনুযায়ী চরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। এরপর সরিষাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে প্রেমিকের সহযোগিতায় পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর মরদেহ বালু চাপা দেয়।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, রেশমি তার স্বামী নাঈমকে রামাইল তার বাবার বাড়িতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় নদীর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহটি বালু চাপা দিয়ে গুম করে। রেশমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং পরে তার দেওয়া তথ্যমতে প্রেমিক মাসুদকে আটক ও মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বুধবার সকালে কোর্টে প্রেরণ ও মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইলে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় নাঈমের বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :