বিএনপি খুনিদের পার্টি আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫১ | প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৭

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের আন্দোলন হলো মানুষ পোড়ানোর, ক্ষতি করার। বিএনপি হচ্ছে খুনিদের পার্টি আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের পার্টি।

শনিবার নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। জনসভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই সমর্থন আমার একমাত্র শক্তি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ছোট বোন শেখ রেহানা শনিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় হাতনেড়ে জনগণকে শুভেচ্ছা জানান

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জনসভার মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। তার সফরসঙ্গী ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানাও।

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে, তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

নিজের ওপর বারবার হামলা প্রসঙ্গে জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারাই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন। তাদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি। তারা বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সেসময় মানবঢাল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডন থেকে হুকুম দেয়, এখানে মানুষ পোড়ায়। তারেকের মতো খুনির কথা তারা শুনে, লম্পটের কথা শুনে কেন তারা মানুষ মারে এটা তাদের কাছে আমার প্রশ্ন। এর জন্য আল্লাহর কাছে শাস্তি পেতে হবে। আমরা চাই মানুষ শান্তিতে থাকুক। নির্বাচন বানচাল করতে চায় তারা।

দুর্নীতি করতে আসিনি বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মুজিব আদর্শে বিশ্বাস করি, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করবো, আজ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি। ইসরায়েল দ্বারা যেমনি ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করছে ঠিক তেমনি তারেক রহমান লন্ডন থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আগামী নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে তাকে ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

এর আগের দিন শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনি জনসভা শেষে সন্ধ্যার পর সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্য। পরে সমবেত সবাইকে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে কোটালিপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।

কোটালিপাড়ায় জনসভা শেষে বিকালে মাদারীপুরের কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সেখানে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসমাবেশ যেন সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায় তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এরপর আগামী ২ জানুয়ারি ফরিদপুরে নির্বাচনি জনসভা করবেন শেখ হাসিনা। ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্যদিয়ে শেষ হবে তার নির্বাচনি প্রচার ও প্রচারণা।

(ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ঔষধ শিল্প অ্যাসোসিয়েশনের সাক্ষাৎ

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন জরুরি: মান্না

আ.লীগের বিরুদ্ধে মানুষের ঘৃণা শত বছরেও দূর হবে না: সেলিম উদ্দিন 

কতিপয় রাজনৈতিক দল আ.লীগের পথেই হাঁটছে: জিএম কাদের

সাইবার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপি নেতা আলাল

গণমাধ্যম অফিসে হুমকির অভিযোগ, মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক দুলাল বহিষ্কার

কিবরিয়া হত্যাসহ চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবর

চলমান অস্থিরতায় প্রতিযোগী দেশগুলো আমাদের পোশাকখাত ধ্বংসের সুযোগ পাবে: জামায়াত সেক্রেটারি

সংস্কার শেষে স্বল্প সময়ে নির্বাচনে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার, প্রত্যাশা মির্জা ফখরুলের

২৮ অক্টোবরের সমাবেশে হামলার ঘটনায় আজ মামলা করবে বিএনপি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :