হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ

ঝরে পড়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষার্থী

হবিগঞ্জ (আজমিরীগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২
অ- অ+

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ঝরে পড়ার শঙ্কায় দিন পার করছে উপজেলার ৯টি এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুক হাজারো শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতি শাখায় ৫৫ জন এবং ২টি শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিপরীতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে গড়ে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শঙ্কায় দিন পার করছে হাজারো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলছে, আমরা নির্দেশনা পেয়েছি প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতি শাখায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। কিন্তু প্রতিটি বিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন জমা পড়েছে কয়েক শতাধিক। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শাখা প্রতি ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু প্রতিটি বিদ্যালয়ে গড়ে ভর্তি আবেদন জমা পড়েছে দুই শতাধিকেরও বেশি। এছাড়াও না জানার কারণে প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করেননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও প্রায় দুই শতাধিকের বেশি। উপজেলার ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৫০০ এরও বেশি।

হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে অধিকাংশ ঝরে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাইফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, মেয়েকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু না হওয়াতে চিন্তায় আছি।

রিজভী আক্তার নামে আরেক অভিভাবক জানান, মেয়েকে ভর্তির আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি। যদি আসন সংখ্যা হিসাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় তবে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী বাদ পড়ে যাবে।

উপজেলার জলসুখা কৃষ্ণ গোবিন্দ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও পাহাড়পুর বসন্ত কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র দাস ঢাকা টাইমসকে বলেন, শাখার আসন সংখ্যার বিপরীতে আবেদন পড়েছে তিনগুণ। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় পাহাড়পুরে আবেদন করেননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিকের বেশি।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করেছি। শিক্ষার্থী ভর্তি না হতে পারলে ঝরে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। আমরা সবকটি উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে যোগাযোগ করে বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পেলে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/ ইএইচ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা 
ভারতে বিমান বিধ্বস্তের নেপথ্যে কি? যা জানা গেল 
বিমান দুর্ঘটনায় মোদির শোক প্রকাশ
ভারতের বিমান দুর্ঘটনায় ১৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা