মাঘের তীব্র শীতে কাঁপছে দিনাজপুর

মাঘের শুরুতেই তীব্র শীতে কাঁপছে দিনাজপুর। এক নাগারে তৃতীয় দিনের মতো আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায়। কয়েকদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। হিমেল বাতাসে আর শীতে কাবু মানুষ ও প্রাণিকুল। ঘটেছে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ পতন। চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। কামাই-রোজগার কমে গেছে তাদের। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীরে উষ্ণতা নিচ্ছেন। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ জানিয়েছেন, সোমবার জেলার তাপামাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এক নাগারে তৃতীয় দিনের মতো আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায়। আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ০০ নটস। রবিবার জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা এক ডিগ্রি বাড়লেও হিমেল হাওয়ায় এবং বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কমেনি শীতের তীব্রতা।
শীতের প্রকোপে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। হাসপাতালগুলোতে রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স এবং চিকিৎসকরা।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগ আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে শিশু ও বয়স্কদের বের না হওয়াই ভালো।'দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, শীত নিবারণে জেলার তেরো উপজেলার ১০৩ টি ইউনিয়ন ও নয়টি পৌরসভার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৬২ হাজার ৩৮০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার চাহিদা অনুযায়ী আরো ৫০ হাজার পিস কম্বল এবং শিশুদের গরম কাপড় চেয়ে আজ সোমবার ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বিশেষ চাহিদা পাঠানো হয়েছে।'
(ঢাকা টাইমস/১৫জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন