গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হারুন অর রশিদ (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে হত্যা করেছে রুবেল মিয়া নামে এক যুবক।
সোমবার দুপুরে উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত হারুন অর রশিদ পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের খুরশেদ আলমের ছেলে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে গয়েশপুর বাজারে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করতেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোমিও চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ দুপুর ১২টার দিকে ওষুধের দোকান থেকে চা পানের জন্য গয়েশপুর বাজারের ছাগল মলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহাব উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (৪০) হারুনকে গালাগালি শুরু করেন। এর প্রতিবাদ জানান হারুন মিয়া। সঙ্গে সঙ্গে কাছে থাকা ধারালো রাম দা হাতে রুবেল তাকে ধাওয়া করেন। জীবন বাঁচাতে হারুন মিয়া দৌড় দেন। পেছনে পিছনে দৌড়াতে থাকেন রুবেলও। একপর্যায়ে হারুন বাজারের ভেতর রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় রুবেল হারুনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে উত্তেজিত জনতা রুবেলের বাসায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন। তখন রুবেল বাসা থেকে অস্ত্র হাতে বের হয়ে উত্তেজিত জনতাকে ধাওয়া করেন। এর এক পর্যায়ে জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। ছেলেকে বাঁচাতে মা বিউটি বেগম এগিয়ে এলে তিনিও গণপিটুনিতে আহত হন। খবর পেয়ে পাগলা এবং গফরগাঁও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি নেতার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/পিএস)

মন্তব্য করুন