নওগাঁর বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযানের সুফল মিলতে শুরু করেছে নওগাঁর চালের বাজারে। ফলে খুচরা ও পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে চালের দাম।
সোমবার নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র ও পাইকারি বাজারে চিকন জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা কমে।
ক্রেতারা জানান, স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে চালের বাজারে। তবে সরকারের মনিটরিং আরও জোরদার হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
পৌর চাউল বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে চিকন জাতের কাটারি চাল প্রতিকেজি ৬৮-৭০ টাকা, জিরাশাইল ৬৫-৬৮ টাকা, আটাশ ও উনত্রিশ জাতের চাল ৫৮-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে প্রকারভেদে তা তিন থেকে পাঁচ টাকা কমে বিক্রি করছেন। আর মোটা স্বর্ণা-৫ জাতের চাল কেজিপ্রতি দুই টাকা কমেছে। অপরদিকে নব্বই জাতের আতপ চাল কেজিপ্রতি ১০টাকা কমে বিক্রি করছেন তারা।
বস্তাপ্রতি চাউলের দাম ১৫০-২০০ টাকা কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারে চাউলের দাম কমেছে।
তারা জানান- সরকারের মজুতবিরোধী অভিযানের প্রভাব পড়েছে ধানের বাজারে। বস্তাপ্রতি কমেছে ধানের দাম। তাই চালের দামও নিম্নমুখী।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি ধানের হাটের ধান ব্যবসায়ীরা জানান, অবৈধ মজুতকৃত ধান সরকারের জরিমানা ও সিলগালার মুখে পড়ায় মিলাররা অতিরিক্ত ধান কিনছেন না। এছাড়া যারা ধান মজুত করে রেখেছেন তারাও আর ধান কিনছেন না। ফলে ধানের আমদানিও কমে গেছে। হাটে পাইকারদের উপস্থিতিও কম। তাছাড়া অভিযানের কারণে মৌসুমি মজুদদাররাও ধান কিনছেন না। ফলে ধানের বাজার গত সপ্তাহের তুলনায় ২০০ টাকা কমে গেছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চালের বাজারে। বর্তমান যে বাজারমূল্য তা ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। পূর্বে হাটে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাউলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। ধানের দাম কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চালের দামও কমে গেছে।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/ ইএইচ)
মন্তব্য করুন