শীতে জবুথবু সৈয়দপুরের জনজীবন, তাপমাত্রা নামল ৬ ডিগ্রিতে

মো. জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
 | প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬

নীলফামারীতে উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু জনজীবন। ঘন কুয়াশায় শীতে জবুথবু নীলফামারীর সৈয়দপুরের জনজীবন, তাপমাত্রা নামল ৬ ডিগ্রিতে।

সৈয়দপুরে উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু জনজীবন। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারদিক। শীতের দাপটে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

রবিবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলিত মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বিচারে এটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

এমন অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালসহ লোকালয়ে মানুষজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা এলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বের হলেও কাজ না পেয়ে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ঠান্ডা বাতাসে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষদের। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা ও আলুখেত। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে গরু-ছাগল।

কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে কৃষক নজু ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে ঠান্ডাটা বেশি। ঠান্ডা বেশি হলেও কিছু করার নেই। কাজ করে পেট চালাতে হবে। কাজ না করলে পেটে ভাত যাবে না।

শহরের পাঁচ মাথা মোড় এলাকার রুবেল হোসেন বলেন, গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ঠান্ডায় যাত্রী ঠিকমতো পাই না। শহর ফাঁকা, লোকজন নেই। রিকশা জমার টাকা কামাই হয় না। পরিবারে পাঁচজনের জন্য প্রতিদিন ৩০০ টাকার বাজার লাগে। এই ঠান্ডা বাতাস কাল হয়ে দাঁড়াইছে। এভাবে জীবন চলে না।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে নীলফামারীর তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আজ সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলিত মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ রকম তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কম।

সৈয়দপুরে ১০০ শয্যা হাসপাতালে আর এম ও নাজমুল হক বলেন, গত কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগী সংখ্যা বেড়েছে এতে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

(ঢাকা টাইমস/২৮জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :