চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলেই কিডনির ক্ষতি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৬| আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০
অ- অ+

প্রতিবছর দেশের ১৭ হাজার রোগী কিডনির ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন। একই সঙ্গে প্রায় তিন হাজার রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

কিডনির সমস্যা থেকে বাঁচতে সবাইকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে।’

শনিবার সকালে রিউমাটয়েড আর্থাইটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউর রিউমাটোলোজি বিভাগ আয়োজিত শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যখনই কোন মানুষের শরীরে সন্ধিতে ব্যথা অনুভব করবেন, তখনই রিউমাটোলোজি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। রোগ ধরা পরলে চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক চলাচল করলে এ রোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ব্যথা নিয়ে ঘরে পরে থাকলে ক্ষতি হবে। এটি এমন রোগ, যা শরীরের অন্যান্য অংশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমন রোগীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুচিকিৎসা পাবে। রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের চিকিৎসা না করলে মানুষ পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে থাকবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের রোগীরা ঘরে বসে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকে। নিজেরা ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ১৭ হাজার রোগী কিডনির ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন এবং প্রায় তিন হাজার রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়।’

উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলোজি বিভাগ সুনাম বয়ে আনছে। যারা বেশ ভাল ভাল গবেষণা কাজ করছে। তাদের এ গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছে।’

শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রিউমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহেযাগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলোজি) ডা. মো. রাসেল, রিউমাটোলোজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আব্দাল, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/এলএম/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর
যুদ্ধ-উত্তেজনার মধ্যেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
দার্শনিক শিল্পপতি সুফি মিজানুর রহমান: পুরুষোত্তম
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করছে ইন্টারপোল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা