লাগামহীন মাছ-মাংসের বাজার, নির্ধারিত মূল্য মানছে না বিক্রেতারা

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা
| আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭ | প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৫

চুয়াডাঙ্গায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে মাছ-মাংস ও পেঁয়াজের বাজার। তবে স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা সবজির বাজারে। আর অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। রমজান আসার আগেই রোজার পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের সভাপতিত্বে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সভায় সিদ্ধান্ত হয় প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি করা যাবে ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু শুক্র, শনি ও রবিবার বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭শ’ টাকা থেকে ৭শ’ ২০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে প্রতিকেজি খাসির মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ৯শ’ টাকা।

নিয়ম অমান্য করে বাজারে খাসির মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। দাম বিক্রি করা নিয়ে মাংস বিক্রেতাদের রয়েছে নানান যুক্তি। একইসঙ্গে দাম বেড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের চাহিদার ব্রয়লার মুরগির। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি।

তবে কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে সোনালি মুরগির বাজারে। দাম বেড়েছে প্যারিস মুরগির। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজি প্যারিস মুরগির মাংস। তবে এখনো স্বস্তি ফেরেনি মাছের বাজারে। প্রতি কেজি সব ধরনের মাছ কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। ফলে মাছ মাংসের বাজারে ক্রেতা সাধারণ হতাশ হয়ে পড়েছেন। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

এদিকে, বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মেঘলা আকাশ আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে বাজারের পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে তা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। তবে স্বস্তির হাওয়া ফিরেছে কাচা মরিচ, রসুন ও অন্যান্য সব ধরনের কাঁচা সবজির বাজারে। রমজান মাসকে সামনে রেখে ছোলাসহ সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। আর সয়াবিন তেল আগের দাম অনুযায়ী লিটার প্রতি ১৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাস যত নিকটে আসবে ততই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আর অন্যান্য মশলার দামও কম বেশি ওঠানামা করছে প্রতিনিয়ত।

বাজারে আসা এক ক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ১ হাজার টাকা কেজিতে খাসির মাংস কিনতে হলো। কিন্তু জানি ৯শ’ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। সে নির্দেশনা কোনো বিক্রেতা মানছে না। ফলে বাধ্য হয়েই চড়ামূল্যে মাংস কিনতে হচ্ছে।

আরেক ক্রেতা আব্দুস সামাদ বলেন, রমজান মাস আসার আগেই বাজারে তেল ডাল মাছ মাংসের দাম বেশি। প্রতি সপ্তাহে এই অস্বাভাবিক জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে। আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে পারছি না। রোজার আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আরও লাগামহীন হয়ে পড়বে।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম বলেন, মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও যদি দাম বেশি নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন ডালের দাম একটু বেশি। তবে দাম কম সবজির। সবমিলিয়ে বাজারে দাম ওঠানামা করছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। সামনে রমজান মাসে বাজার যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ভাঙ্গা-রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে আসছে নতুন ২ জোড়া ট্রেন

‘৭ জানুয়ারি আ.লীগ প্রার্থীকে জেতাতে অপকর্ম করেছি’, আ.লীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল

পিরোজপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ

গজারিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রশ্নফাঁসে জড়িত ডা. তারিমের ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাখ টাকা জরিমানা

পূবাইলে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

চাঁদপুরে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি জেলেদের

দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা যশোরে

সিলেটের ৪ উপজেলায় ২৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৯ জন স্বশিক্ষিত

পাইনাপেল সিল্ক উৎপাদনে আমাদের সহযোগিতা থাকবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :