একই ছাদের নিচে খ্যাতনামা সব গহনার দোকান

বাজুস ফেয়ারে একই ছাদের নিচে বসেছে দেশের খ্যাতনামা সব গহনার দোকান। বাজুস ফেয়ারে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো অবস্থান নেওয়ায় নিজের পছন্দমতো গহনা কিনতে অনেকেই মেলায় আসেন। প্রতিবছর বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) উদ্যোগে বসে এই মেলা।
সরেজমিনে প্রথম দিনে দেখা গেছে, কেউ এসেছেন মেলা ঘুরে দেখতে। আবার কেউ এসেছেন নিজের পছন্দের ডিজাইনে গহনা কিনতে। উদ্বোধনী দিনেই ক্রেতা-বিক্রেতাসহ তারকাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মেলায় ঘুরতে আসা অনেকে আবার এসেছেন নিজের পছন্দের তারকাকে দেখতে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় তৃতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে এই মেলা।
বাজুস ফেয়ার পরিদর্শনে আসা ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনের কনস্যুলার (বাণিজ্য) শ্রীমালি জয়রত্ন ঢাকাটাইমসকে বলেন, জুয়েলার্স মেলায় প্রথমবার আসলাম। আমি আশাবাদী যে জুয়েলার্সের এই মেলাটি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করবে।
সংশ্লিষ্ট খবর: তিন দিনব্যাপী বাজুস ফেয়ার শুরু
রামপুরা থেকে আসা ক্রেতা ইসফিতা রাকিব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি সবসময় এই মেলা থেকেই গহনা ক্রয় করি। অন্যবারের মতো এবারের মেলাও বেশ জমজমাট। প্রথম দিনে এসেছি শুধু গহনা দেখতে; প্রস্তুতি নিয়ে পরে কিনতে আসবো।’
আফতাব জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ও বাজুস ফেয়ারের যুগ্ম সম্পাদক উত্তম ঘোষ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সবসময়ই ডিজাইন ও মানের দিক দিয়ে আফতাব জুয়েলার্স ভালো কিছু উপহার দিয়ে এসেছে। এবারের বাজুস ফেয়ারে সময়ের চাহিদা মেটাবে বলে আমরা আশাবাদী।’
রয়েল মালাবার জুয়েলার্সের হেড অব মার্কেটিং বুলবুল আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্রথমে ভাবলাম কি করা যায় আমাদের ক্রেতাদের জন্য। ক্রেতাদের উপভোগের জন্য কোন ধরনের আয়োজন করা যায়। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে, গোল্ডের ফেয়ারে গোল্ড বার খেলা রাখবো। প্রথমদিনেই দেখছি মানুষ এই খেলায় মেতেছে বেশ।’
ডায়মন্ড প্লেস লিমিটেডের ম্যানেজার সামসুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্রথম দিনেই মেলায় ক্রেতাদের এতো ভিড় আমরা আশাও করিনি। আমাদের সকল স্বর্ণ ও ডায়মন্ড দোকানগুলোকে এক ছাদের নিচে একত্র করার জন্য বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরসহ আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের বিক্রয় বেশ জমে উঠছে।’
‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’ প্রতিপাদ্যে এবারের বাজুস ফেয়ারে ৯টি প্যাভিলিয়ন, ১৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের স্বনামধন্য ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের সুবিধার্থে বেশ কিছু অফার নিয়ে এসেছে। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর হল নবরাত্রিতে তিন দিনের মেলা চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না।
(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/এমএইচ/এসআইস)

মন্তব্য করুন