বর্তমান শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রম নিয়ে পুরা জাতি উদ্বিগ্ন: আহমদ আবদুল কাদের
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্যে পাঠ্যক্রমে শরীফার গল্প ঢুকানো হয়েছে। বর্তমান শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রম নিয়ে পুরা জাতি আজ উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষায় নৈতিকতার সংকটের ফল হচ্ছে সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীর ওপর পৈশাচিতকতা। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ ধরনের বিতর্কিত শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না। এ অনৈতিক শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিজয়নগরস্থ মজলিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সমাবেশে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমি, যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল।
আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ ভুঁইয়া, আলহাজ্ব মো: আবদুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইফুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহা. সেলিম হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাস্টার কেতাব আলী মল্লিক, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক আব্দুল হান্নান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবিএম শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা অলিউল্লাহ, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, হাফেজ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।
ড. আহমদ আবদুল কাদের তার বক্তব্যে আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ইতিহাসের সমস্ত গণহত্যার নজির ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর এ জঘন্য গণহত্যা পরিচালনায় সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলো অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এ জঘন্য গণহত্যার জন্য ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না। ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/জেবি/ইএস