ফের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া
ভারতের মাটিতে তাদেরকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি হাতে উল্লাস করেছেন অস্ট্রেলিয়ানরা। সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি ভারতীয় ক্রিকেটার এবং অগণিত দর্শকের মন থেকে। তিন মাস আগের তাজা সেই ক্ষত নিয়েই ফের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি ভারত। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের বেনোনিতে ম্যাচটি শুরু হবে আজ রবিবার দুপুর ২টায়।
এর আগে ২০০৩ সালে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে ভারতীয় যুবাদের দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল এই অস্ট্রেলিয়ার হাতেই। প্রতিশোধ নেওয়া বাকি সেটারও। তবে প্রতিশোধের ভাবনা মাথাতেই নেই বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক উদয় সাহারান। তিনি বলছেন, ‘আমরা প্রতিশোধ বা অতীত নিয়ে ভাবছি না। বর্তমানে বাঁচছি।’
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে সিনিয়র দলে ক্রিকেটার উঠে আসার নিরিখে ভারত বাকিদের অনেক আগে। এই বিশ্বকাপ শুধু কোহলিকেই দেয়নি, তার আগে যুবরাজ সিং, মোহাম্মদ কাইফ, সুরেশ রায়না এবং পরে শুভমন গিল, পৃথ্বী শ-কে দিয়েছে। আগামী কয়েক বছরে উদয় সাহারান, মুশির খান, সচিন ধাস, রাজ লিম্বানীরা ঘরোয়া নাম হবেন কি না সময়েই বলবে। তবে রবিবার নিজেদের চেনানোর সুবর্ণ সুযোগ তাদের সবার কাছেই।
ক্রিকেটে যখন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার মতো দল, তখন লড়াই সহজ হবে না। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টম স্ট্র্যাকার। এছাড়া হিউ ওয়েবগেন, হ্যারি ডিক্সন, ক্যালাম ভিডলারের মতো ক্রিকেটার রয়েছে তাদের দলে।
পরিসংখ্যান অবশ্য ভারতের পক্ষেই। ২০১২ এবং ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছিল। দুইবারই জিতেছিল ভারত। যুবাদের ক্রিকেটে ভারত গোটা বিশ্বেই দাপট দেখায়। তাই ইতিহাস গড়ার তাগিদ নিয়ে মাঠে নামছেন না উদয়রা। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত এমনিতেই ইতিহাসে। এবার জিতলে হেক্সা হবে।
কিন্তু মাঠে নেমে কতটা লড়াই করতে পারল ভারতীয়রা, কতটা মনোরঞ্জন করতে পারল, তার দিকেই নজর থাকবে সবার। ২০১৬ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রতিবারই ফাইনালে উঠেছে ভারত। দুইবার জিতেছে, দুইবার হেরেছে। ফাইনালে উঠলেও ভারতের এই দলটি আগে আশা জাগাতে পারেনি। বিশ্বকাপের আগেই এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা।
কিন্তু বিশ্বকাপে সবাই নিজের সেরাটা বের করে এনেছেন। ব্যাটারদের মধ্যে সবার আগে অধিনায়ক নিজেই। করেছেন ৩৮৯ রান। এরপর মুশির খান এবং সচিন ধাস রয়েছেন। এর মধ্যে উদয় এবং সচিনকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এই দলে এমন কোনো চরিত্র নেই, যাকে নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত চাপও নেই তাদের মাথায়। ফাইনালে এটা তাদের পক্ষে যেতে পারে।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দলেও রয়েছেন ব্যাটার-বোলার মিলিয়ে বেশ কয়েকজন তারকা। যাদের কাঁধে ভর করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্যাঙ্গারুর দেশটি। তিন মাস আগেই তাদের বড় ভাইয়েরা ভারতের মাঠ থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছেন। সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান যুবাদের সেই অনুপ্রেরণা। তবে শেষ হাসি কারা হাসবে, তা তো ম্যাচ শেষেই জানা যাবে।
(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/এজে)