একাই লড়লেন অ্যালেক্স রস, ঢাকার হারের রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৭

চলতি বিপিএলে কুমিল্লার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করা ঢাকা হেরেছে সবশেষ ৯ ম্যাচের সবকটিতে। চট্টগ্রামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বড় রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ঢাকায়। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তামিম ইকবালের দলের বিপক্ষে হারতে হয়েছে তাসকিনের দলকে। ২৭ রানের হারে বিপিএলের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ড গড়লো ঢাকা। তাদের এমন হতাশার রেকর্ড থেকে মুক্তি পেল সিলেট সানরাইজার্স।

২০১২ বিপিএলের প্রথম আসরে সাত ম্যাচ হেরেছিল সিলেট রয়্যালস। সাত ম্যাচ হেরে একই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিল সিলেটের আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি সিক্সার্স। তাদের ছাড়িয়ে বিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ড নিজেদের করে নেয় সিলেট সানরাইজার্স। ২০২১-২২ মৌসুমে এক জয় পাওয়া সানরাইজার্স হেরেছিল ৮টি ম্যাচে। ঢাকা পর্বের শেষে দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরে তাদের সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন তাসকিন আহমেদরা।

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলায় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুর্দান্ত ঢাকাকে ২৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এদিন টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করতে সমর্থ হয়। অ্যালেক্স রস একাই ঝড় তুলে ৪৯ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।

চট্টগ্রাম পর্বে ঢাকার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ নাঈম ও অ্যাডাম রসিংটন। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ভেঙে যায় এই জুটি। কেশব মহারাজের বলে ডিপ মিড উইকেটে আহমেদ শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম। যার ফলে দলীয় ১০ রানেই ভাঙে ঢাকার ওপেনিং জুটি।

মোহাম্মদ নাঈমের পর সাজঘরে ফিরে যান অ্যাডাম রসিংটন ও সাইফ হাসান। অ্যাডাম রসিংটন ২ বলে ৪ ও সাইফ হাসান ৪ বলে ২ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ে ১৭ রানেই ৩ উইকেট হারায় ঢাকা।

১৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন অ্যালেক্স রস ও শন উইলিয়ামস। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঢাকা। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান খালেদ আহমেদ। খালেদ আহমেদের বলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১৫ বলে ১২ রান করা শন উইলিয়ামস। তার বিদায়ে ভাঙে ২৪ রানের জুটি।

শন উইলিয়ামসের পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি এসএম মেহেরবও। তাকেও ফেরান খালেদ আহমেদ। ৯ বলে মাত্র ৬ রান করে খালেদের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

এসএম মেহেরবের বিদায়ের পর মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অ্যালেক্স রস। এই জুটি থেকে আসে ২৪ রান। দলীয় ৭৪ রানে মোসাদ্দেক হোসেন সাজঘরে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। শন উইলিয়ামস আর এসএম মেহেরবের পর মোসাদ্দেক হোসেনকেও ফেরান খালেদ আহমেদ।

মোসাদ্দেক হোসেনের পথ ধরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আলাউদ্দিন বাবু। ৬ বলে ৩ রান করে ওবেদ ম্যাককয়ের বলে মিড উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৮০ রানেই ৭ উইকেট হারায় ঢাকা।

৮০ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর তাসকিন আহমেদের সঙ্গে জুটি গড়েন অ্যালেক্স রস। এই জুটিতে ভর করে ১৫ ওভার ১ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করে ঢাকা। এর পরেই স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন অ্যালেক্স রস। অন্য খেলোযাড়রা যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলের সেখানে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৬ বলেই তুলে নেন অর্ধশতক।

এই জুটিতে ভর করে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল ঢাকা। তখনই ঢাকার শিবিরে আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সাইফুদ্দিনের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তাসকিন। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৬ রানের জুটি।

তাসকিনের বিদায়ের পর নবম উইকেটে আরাফাত সানিকে নিয়ে ১৯ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন অ্যালেক্স রস। তবে তাদের এই রান শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা। যার ফলে বরিশাল তুলে নেয় ২৭ রানের জয়।

এর আগে ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতে তামিম শেষে সাইফউদ্দিন, এই দুই ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করে ঢাকার বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের পুঁজি পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। তামিম ৪৫ বলে করেছেন ৭১, আর সাইফউদ্দিন ৬ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। (ঢাকাটাইমস/১৪ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :