বমি করে ছিনতাই চক্রের ‘গুরু’ চোরা স্বপন গ্রেপ্তার
রাজধানীর গণপরিবহনে যাত্রীদের শরীরে বমি করে ছিনতাই করা চক্রের হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, বাসে যাত্রী বেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’ নামে পরিচিত চোরা স্বপন।
তার নাম- মো. স্বপন ওরফে চোরা স্বপন। এই স্বপন বরিশালের কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে।
মঙ্গলবার তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি ছুরি এবং ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার ফার্মগেটে থেকে স্বপন তার দুই সহযোগী নিয়ে বাসে ওঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুইজন পালালেও স্বপনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ আটক স্বপনের কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।”
ওসি বলেন, “স্বপন একসময় চুরি করতো। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হয়। এ কারণে গ্রামে সবাই তাকে চোরা স্বপন নামেই চেনে। গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে ছিনতাই শুরু করে। প্রথমে অন্য দলের সঙ্গে থাকলেও পরে নিজেই দল গঠন করে। এরপর সে নিজেই ‘বমি পার্টি’ তৈরি করে। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে ওঠে। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করে, এরপর কেউ একজন কৃত্রিম বমি করে। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরনের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। তারা যে বমি করে সেটা কৃত্রিম। চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে এই কৃত্রিম বমি করা হয়। কৃত্রিম এই বমি সবাই করতে পারে না। এই বমি করার প্রশিক্ষণ দেয় স্বপন। তাই তাকে এ ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকে।”
স্বপন চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এসএস/এফএ)