শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির হট্টগোল

কুবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৯ | প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে উপস্থাপক ও আহ্বায়কের সঙ্গে হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে।

বুধবার প্রথম প্রহরে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ফুল দেওয়ার পর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি ফুল দেয়। এরপর কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িকে ফুল দেওয়ার অনুরোধ জানান উপস্থাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্ত। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এসে ক্ষুব্ধ হয়ে জানতে চান, আবাসিক হলগুলো বাকি থাকতে পুলিশ ফাঁড়ি কেন ফুল দেবে? পরবর্তীতে তারা একই প্রশ্ন রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের কাছে।

এ সময় অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের ছাত্ররা ফুল দেয়নি, 'আবাসিক হল ও বিভাগগুলোও ফুল দেয়নি। এটা কোন ধরনের কালচার। তারা (পুলিশ ফাঁড়ি) অবশ্যই ফুল দেবে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ফুল দেবে।'

অপরদিক থেকে অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন আঙুল তুলে বলেন, 'এই আয়োজনের আহ্বায়ক কে? ওরে কান ধরে উঠবস করাও।' এরপর তিনি অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের দিকে আঙুল তুলে বলেন, 'আপনি হলের প্রভোস্ট ছিলেন না? আপনার লজ্জা করে না? আপনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কাছে ক্ষমা চান।'

এরপর কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, 'আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অপমান করে বাইরের সংগঠনকে আনবেন। তারপর দোকান মালিক সমিতিকে আনবেন, ভূমিদস্যু আনবেন এইসব আপনাদের কাজ? এইসব করার জন্য আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন? আপনাকে যদি কেউ নির্দেশ দিয়ে থাকে তাহলে তার নাম বলতে হবে।' তখন আবার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, 'প্রক্টর কোথায়? প্রক্টর বিষয়টা এড়াতে পারেন না।'

তারপর অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, 'আমি শুরু থেকেই তাদের ডিসএগ্রি করেছি (নিষেধ করেছি)।'

আহ্বায়কের এই কথা শুনে তখন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের মুখ থেকে শুনতে পাওয়া যায়, 'কার নির্দেশে এটা হয়েছে। আপনি কার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন? এটা সবার সামনে বলতে হবে।'

প্রত্যুত্তরে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক বলেন, 'এটা নিয়ে আমরা তর্ক না করি। বিভাগ এবং হলগুলোর আগে তাদেরকে (পুলিশ ফাঁড়ি) ফুল দেওয়ার বিষয়ে আমাদের প্রশাসনিকভাবে ভুল হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব। এই মুহূর্তে এখানে এটা আলোচনার বিষয় না।'

(ঢাকাটাইমস/২১ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক এবং শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন নিন্দনীয়

শিল্প সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান ইউজিসির

তিন দিনব্যাপী International Conference on Physics অনুষ্ঠিত

নানা আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও উত্তেজনা, মধ্যরাতে অস্ত্রের মহড়া

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র ছাত্রীহলের নাম পরিবর্তন

প্রাক মুঘল আমলের ঢাকার ইতিহাস বের করার তাগিদ

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে মোবাইল ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

যুক্তরাজ্য গেলেন ঢাবি উপাচার্য, রুটিন দায়িত্বে সীতেশ বাছার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :