গাজায় আরও ৮৬ হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানির শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৯ | প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ আরও বাড়লে প্রায় ৮৬ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের একটি যৌথ সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। খবর আনাদোলুর।

‘দ্য ক্রাইসিস ইন গাজা: সিনারিও-বেসড হেলথ ইমপ্যাক্ট প্রোজেকশন’ নামের এই যৌথ সমীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর হিউম্যানিটারিয়ান হেলথ।

সোমবার প্রকাশিত এই সমীক্ষায় গাজায় চলমান যুদ্ধে তিনটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি কী হতে পারে তা সামনে আনা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সম্ভাবনার ব্যাপারে বলা হয়েছে, গাজায় সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেলে পরবর্তী ছয় মাসে শারীরিক আঘাত এবং বিভিন্ন রোগে ৮৫ হাজার ৭৫০ ফিলিস্তিনি মারা যেতে পারেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলের আক্রমণের পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গত চার মাসে বিদ্যমান অবস্থার ধারাবাহিকতার ওপর ভিত্তি করে মধ্যম-মানের সম্ভাব্য পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আঘাত এবং রোগের কারণে পরবর্তী ছয় মাসে আরও ৬৬ হাজার ৭২০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাতে পারেন।

অন্যদিকে সর্বোত্তম পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনই যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে এখনো অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ১১ হাজার ৫৮০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাবে এবং এই মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী হবে মহামারি।

প্রতিবেদনে লেখকরা লিখেছেন, ‘আমাদের এই সম্ভাব্য অনুমানগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে- বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে সর্বোত্তম ক্ষেত্রেও অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি হলেও হাজার হাজার অতিরিক্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে থাকবে, আর এটি হবে প্রধানত পানি, স্যানিটেশন এবং আশ্রয় ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থার কারণে। কারণ এই অবস্থার উন্নতি করতে, অপুষ্টি কমাতে এবং গাজায় কার্যকরী স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করতে সময় লাগবে।’

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় পরিস্থিতি কোন দিকে এগোবে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগামী মে মাসে এই পরিসংখ্যান আপডেট করা হবে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু চলমান যুদ্ধকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল যখন গাজার বাকি অংশে আক্রমণ চালাচ্ছিল বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা তখন মিশরের সাথে গাজার সীমান্তে অবস্থিত রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিকদের জন্য এটিকে একটি নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করেছিল। তবে জানুয়ারির শেষ দিকে রাফাহতে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

হামাসের কাছে আটক ১৩০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে রমজানের শুরুতে শহরটিতে স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :