বইপ্রেমীতে মুখর ‘তিস্তা ইউনিভার্সিটি, রংপুর বইমেলা’
লেখক ও পাঠকদের পদচারণায় জমে উঠছে ‘তিস্তা ইউনিভার্সিটি, রংপুর বইমেলা।’ মানসম্পন্ন শিক্ষাবিস্তার ও গবেষণা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত রংপুরের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তিস্তা ইউনিভার্সিটির আয়োজনে টাউন হল চত্বর প্রাঙ্গণে ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলার আজ (শুক্রবার) তৃতীয় দিন।
নানা ধরনের বই দিয়ে সাজানো হয়েছে মেলার স্টলগুলো। সেখানে ভিড় করছেন কবি, সাহিত্যিক, প্রবীণ এবং কম বয়সী তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বাবা-মায়ের হাত ধরে চলা ছোট ছোট সোনামনিরাও। বই কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। এতে দারুণ খুশি মেলার আয়োজক, লেখক ও বিক্রেতারা।
দিন যতই যাচ্ছে ততই জমে উঠছে মেলা। প্রতিদিনই মেলায় বাড়ছে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি। জনপ্রিয় কবি-লেখকদের গল্প-কবিতা-উপন্যাসের প্রতি পাঠকদের যেমন আগ্রহ তেমনি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বইগুলোর প্রতিও। বইমেলায় সবার নজর নতুন বইয়ের দিকে। এ বছর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত বেশ কয়েকটি নতুন বই পাওয়া যাচ্ছে এই মেলায়।
রংপুর নগরীর সেনপাড়া থেকে ঘুরতে আসা নাইমা সিদ্দিক বলেন, বইমেলায় আসলে লাভ না হলেও কোনো ক্ষতি নেই। কারণ, পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর মেলা হলো বইমেলা। ছোট থেকেই আমার বই পড়ার প্রতি আগ্রহ। মেলায় আসলে বই পড়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। প্রিয় লেখকের বই কিনতে ভালো লাগে। আর অবসরে এ বই পড়েই সময় কেটে যায়।
স্টলে থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পাপ্পু বলেন, মেলায় ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিন এবং আজ বেশি বই বিক্রি হয়েছে। পাঠকদের চাহিদা মতো বই দিচ্ছি।
তিস্তা ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম আল-আমিন বলেন, প্রযুক্তির কারণে নতুন প্রজন্ম বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই এই মেলার আয়োজন। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বইয়ের একটা নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হবে। বই হয়ে উঠুক সবার পরম বন্ধু এটাই প্রত্যাশা।
প্রসঙ্গত, চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বইমেলা প্রতিদিন (২১-২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মেলার পাশাপাশি প্রতিদিন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। বইমেলায় দেশের খ্যাতনামা প্রকাশনীসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর মোট ২১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)