যে বই শোনা যায়

​​​​​​​শেখ শাকিল হোসেন, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪০ | প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭

কেমন হবে যদি আপনার পছন্দের বইটি কেউ পড়ে শোনায়? যদি কণ্ঠের তালে তালে পটভূমিতে বাজে আবহ সুর? নিশ্চয়ই দারুণ হবে! বলছি অডিও বুকের কথা। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অডিও বুক অধুনা হলেও বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। প্রযুক্তির সহজলভ্যতার দরুন তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি এখন বেশ উপভোগ্য মাধ্যম।

সরেজমিনে শনিবার দেখা যায়, অমর একুশে বইমেলায় বেশ কিছু স্টল বসেছে যারা এই অডিও বুক নিয়ে কাজ করছেন। বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ এবং বাংলা একাডেমি অংশে থাকা এসব স্টলের সামনে দর্শনার্থীরা ভিড় করে আছেন। এমনই কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের এই প্রতিবেদক।

পেশায় চাকরিজীবী মো. ফয়সাল হোসাইনকে পাওয়া গেল ‘শুনবই’ নামের একটি অডিও বুক স্টলের সামনে। তিনি জানান, ‘লকডাউনের সময় সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। তখন বই পড়তাম। পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজে ঢাকায় আসা লাগতো। গাড়িতে বসে থাকা লাগতো। তখন মনে হয়েছিল অডিও বুক থাকলে বেশ হতো। সেই তাড়না থেকে অডিও বুক শোনা। আমি চাই অডিও বইয়ের সংখ্যা যাতে বাড়ে।’

ফার্মগেট থেকে বইমেলায় এসেছেন মেহেদী হাসান। তিনি জানান, ‘সবসময় প্রিন্ট বই পড়ার সুযোগ হয় না। বাসার বাইরে থাকাকালীন অবসর সময়ে অডিও বুক খুব কাজের। বিশেষ করে যখন গাড়িতে থাকি।’

পেশায় ফিল্ম মেকার এইচ আল হাদী বলেন, ‘একসময় বই পড়ার অভ্যেস থাকলেও পরবর্তীতে নানান ব্যস্ততায় আর পড়া হয় নাই। এজন্য ভাবলাম অডিও বুক শুনলে মন্দ হয় না। মেলায় এসে কাব্যিক অডিও বুকের স্টলে এসেছি। এক বছরের উনাদের প্যাকেজ নিয়েছি।’

কাব্যিক অডিও বুকের তানজিলা আক্তার সাবিহা জানান, ‘২০২১ সালে কাব্যিক অডিও বুক যাত্রা শুরু করেছে। আমাদের আড়াই হাজারের বেশি বই ও কন্টেন্ট আছে। প্লে-স্টোর থেকে আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করে বিভিন্ন মেয়াদে সাবস্ক্রিপশন কিনে অডিও বুক শোনা যায়। তবে আমাদের বেশ কিছু বই ফ্রিতে শুনতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

একই প্রতিষ্ঠানের মো. আরাফাত ইসলামের ভাষ্য, আমাদের ৭ হাজারের বেশি পেইড গ্রাহক আছে। অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে এক লাখেরও বেশি বার।

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকা এমনই আরেকটি প্রতিষ্ঠান কাহিনীক। অডিও বই প্রিন্ট বইয়ের জন্য ঝুঁকি কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ইমরাদ জুলকারনাইন বলেন, ‘অডিও বুক কখনো প্রিন্ট বইয়ের বিকল্প নয়, বরং পরিপূরক। আমি অনেককে বলতে শুনেছি, কিংবা আমার ব্যক্তিগত মতামতই এরকম– যে বইটা আমার পূর্বে পড়া আছে সেটি শুনতে আমার ভালো লাগে। গল্প শোনা বা গল্প বলা এটি জন্ম থেকেই মানুষের সহজাত ভালো লাগার একটি বিষয়। গল্প শুনতে কার না ভালো লাগে?’

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এসকে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :