জ্ঞানবাপী মসজিদে পূজা চলবে: এলাহাবাদ হাইকোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৭
অ- অ+

ভারতের বারাণসিতে বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পূজা করার অনুমতি দিয়ে বারাণসি আদালতের রায় বহাল রাখল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। খবর এনডিটিভির।

সোমবার হাইকোর্টে মুসলিম পক্ষের করা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ। একই সঙ্গে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় হিন্দুদের পূজা, আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি বহাল রাখেন।

এরআগে গত ৩১ জানুয়ারি বারাণসি আদালত এক নির্দেশে জানিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের ভূগর্ভস্থ দক্ষিণ প্রকোষ্ঠে একজন পুরোহিত নিত্য পূজা করতে পারবেন। এরপরই আঞ্জুমান ইন্তজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি বারাণসী আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রথমে হাইকোর্টে যেতে বলে শীর্ষ আদালত। মসজিদ কমিটির দাবি, ওই প্রকোষ্ঠে কোনও বিগ্রহ নেই, এবং সেখানে কখনও পূজা হয়নি।

ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই তার বিস্তারিত রিপোর্টে জানিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের আগে সেখানে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। দক্ষিণের ওই অংশে বেশ কয়েকটি হিন্দু দেবদেবীর বিগ্রহ থাকার প্রমাণ রয়েছে। তার পরেই জেলা আদালত হিন্দুদের পূজাকরার অনুমতি দিলে মধ্যরাতে সেখানে ঢুকে আরতি করে পূজা শুরু হয়ে যায়।

আচার্য বেদব্যাস পীঠ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শৈলেন্দ্রকুমার পাঠকের আবেদন ছিল, ওখানে ব্যাস পরিবারের লোক পূজা করতেন। ব্রিটিশ যুগেও ওখানে পূজা হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সাল থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর ভূগর্ভস্থ দক্ষিণ প্রকোষ্ঠে পুজোর অনুমতি দেয়। জেলাশাসককে দক্ষিণ প্রকোষ্ঠের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে একজন পুরোহিতের সেখানে চারবেলা আরতি ও পূজার অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্টে পাঁচ হিন্দু নারী জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে যে মামলা দায়ের করেছিলেন, তারই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-এর তত্ত্বাবধানে মসজিদের অন্দরের ভিডিয়ো সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর।

এএসআই-র রিপোর্ট অনুসারে, ‘একটি কক্ষের ভিতরে পাওয়া আরবি-ফার্সি ভাষায় লেখা শিলালিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে মসজিদটি আওরঙ্গজেবের রাজত্বের ২০ তম বছরে (১৬৭৬-৭৭) নির্মাণ করা হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, সপ্তদশ শতাব্দীতে আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে আগের যে কাঠামো ছিল তা ভেঙে ফেলা হয় এবং এর কিছু অংশ বদলে ফেলে বর্তমানে যে কাঠামো রয়েছে, সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে।

এএসআই-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে ‘ব্যাস কা তহখানায়’ আরতি এবং পূজার অনুমতি দেন জেলা আদালতের বিচারক।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মির্জাপুরে জুলাই অভ্যুত্থানে দুচোখ হারানো হিমেল পেল সাড়ে ৩ লাখ টাকা
মানিকগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে: লায়ন ফারুক 
গুলিস্তানের শহীদ মতিউর পার্কের পুকুরে শিশুর লাশ উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা