কেন্দুয়ায় খিরার বাম্পার ফলন

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভাল পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। খিরা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খিরা
চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি।
কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের মাতাব উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে।
চারিতলা এলাকার কাশেম মিল্কি, আব্দুল হক সহ অন্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন। কারণ বাজারে খিরার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা ক্রয় করেছেন। মোজাফরপুরের মত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হয়েছে খিরার চাষ। এর মধ্যে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের জালিয়ার হাওরে খিরার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। এই এলাকায় তৃপ্তি, সুফলা, শতাব্দী-১, শতাব্দী-২ ইত্যাদি জাতের খিরার ফলন বেশি হয়।
চাষি আইনাল মিয়া জানান, এবার খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম উঠেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং প্রতি মণ ১২শ থেকে ১৪শ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। প্রতি সপ্তাহে তিনি পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।
আরেক চাষি আতাব উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব দেখা দিলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ১০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেন তিনি। এ বছর খিরা চাষ করেছেন ২০ শতাংশ জমিতে। চাষে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকার মত। খেত থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলবে খিরা তোলা। প্রতি মাসে তিন থেকে চার বার খিরা তোলেন তিনি। তবে দাম এখন একটু বেশি হলেও মার্চের পর দাম কমে যায়। তবে সব মিলিয়ে খরচ বাদ দিয়ে এবছর খিরা থেকে আয় গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।খিরা ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন হাইব্রিড খিরা পাওয়া গেলেও কেন্দুয়ার জালিয়ার হাওরের জমিতে দেশিও খিরার ভাল ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদ অন্য রকম। তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি।
মোজাফরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও মোজাফরপুর ইউনিয়নে খিরার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরো বলেন, এ বছর খিরার ফলন এবং দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরা।কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, এবার ৮৫ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। গত বছরের চেয়ে ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে। স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকা টাইমস/০১মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন