প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন
তামিমদের বরিশালের লঞ্চে বিপিএল শিরোপা

‘আমাগো বাড়ি বরিশাল। মোরা এইবার জিতমু, এরপর লঞ্চে কইরা কাপ নিয়া যামু।’ মিরপুরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনাল শুরুর আগে এমনটাই বলছিলেন ফরচুন বরিশালের সমর্থকরা। নদীবিধৌত শহর হওয়ায় লঞ্চের সঙ্গে বরিশালের নামটার যে জড়াজড়ি! পদ্মা সেতু হওয়ার আগে লঞ্চই ছিল ঢাকা থেকে তাদের বাড়ি ফেরার প্রধান বাহন। শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ পাচ্ছে বরিশাল। কুমিল্লাকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো বিপিএল শিরোপা জিতেছে তামিম ইকবালের বরিশাল।
শুক্রবার (১ মার্চ) কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। ১৫৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে তারা।
১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারে ৭৬ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তারা। ২৬ বলে ৩৯ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
তামিমের ফেরার পর অবশ্য বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি মিরাজ। এই মেইকশিফট ওপেনার মঈন আলিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে জনসন চার্লসের হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ২৯ রান।
আরও পড়ুন>বিপিএলে বরিশালের শিরোপা জয়, আনন্দে ভাসছে নগরী
দুই ওপেনার ফেরার পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও কাইল মেয়ার্স। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৫৯ রান। মূলত এখানেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফরচুনরা। মেয়ার্স ৩০ বলে ৪৬ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর মুশফিকও কাটা পড়েছেন আনলাকি থার্টিনে।
তবে জয় পেয়ে খুব একটা সমস্যা হয়নি বরিশালের। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রান করে। আর মিলারকে ৮ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। পঞ্চম বলে কাইল মেয়ার্সকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন সুনিল নারিন। এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৪ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
নারিন দ্রুত ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস। তবে হৃদয় উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনফর্ম এই ব্যাটার ১০ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছনে।
হৃদয় ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস আশা দেখালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ রানে থেমেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
এদিন সুবিধা করতে পারেননি মঈন আলিও। এই ইংলিশ ব্যাটার দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরেছেন ৬ বলে ৩ রান করে। ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুকছে কুমিল্লা তখন দলের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক।
অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান। এরমধ্যে ১৯তম ওভারেই তুলেছেন ২১ রান। অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাকের আলি।
(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন