রামগঞ্জে মাওলানা লুৎফুর রহমানের জানাজা সম্পন্ন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গাজীপুর রাজ্জাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও প্রবীণ আলেম মাওলানা লুৎফুর রহমানের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবেরী আল মাদানী।
জানাজা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মো. শাহজাহান, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ড. রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, জেলা আমীর রুহুল আমিন ভূইয়া, জেলা নায়েবে আমীর অ্যাড. নজির আহমদ, জেলা নায়েবে আমীর এ আর হাফিজ উল্যাহ, জেলা সহকারী সেক্রেটারর অ্যাড. মহসিন কবির মুরাদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি মমিন উল্লাহ্ পাটওয়ারী, রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুর রহিম, করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মির্জা জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া বক্তব্য দেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ড. খলিলুর রহমান মাদানী, মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী, মুহাদ্দিস রফিক উল্লাহ আফসারী, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমিন, মাহমুদুর রহমান দেলোয়ার, মোল্লা নাজিমুদ্দিন, অধ্যক্ষ জায়েদ হোসেন ফারুকী, সাইয়্যেদ মাহবুব ইজ্জুদ্দীন তাহের জাবেরী আল মাদানীসহ দেশ বরণ্য ওলামায়ে কেরাম ও মরহুমের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন পর্যায়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রাত সাড়ে ৮ টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা ও সকাল সাড়ে ১০ টায় মরহুমের নিজ বাড়িতে তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওলামায়ে কেরাম তাদের বক্তব্যে বলেন তিনি দীর্ঘ ৫৪ বছর কুরআনের তাফসির পেশ করেছেন, দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সমূহ সহ বিশ্বের বহু দেশেও কোরআনের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন।
ওলামায়ে কেরাম আরো বলেন উনার মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। তারপরও আশা প্রকাশ করেন উনার জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে হাজারো আলেম তৈরি হবে।
(ঢাকাটাইমস/৪মার্চ/এআর)

মন্তব্য করুন