ধর্ষণের অভিযোগে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের নামে মামলা

খুলনা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮ | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫২
উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ।

এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদ ও তার চাচাতো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন ভাই পরিচয়ে ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা এক ব্যক্তি।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা মামলাটিকে এজাহার হিসেবে নিতে ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই ও রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে এজাজ আহমেদ ওই তরুণীকে শাহপুর বাজারে তার নিজস্ব কার্যালয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দেন। পরে তরুণী ঘটনাটি তার দূরসম্পর্কের খালাতো ভাইকে জানালে তিনি ভুক্তভোগী তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তরুণীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠান। পরের দিন ওসিসির সামনে থেকে আসামি তৌহিদুজ্জামাসহ ১০-১৫ জন আসামি তরুণী ও তার মাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ওই তরুণী ও তার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করা হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য সোনাডাঙ্গা থানায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সোনাডাঙ্গা ও ডুমুরিয়া থানা-পুলিশ ওই তরুণী ও তার মাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের উদ্ধারের জন্য ডুমুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলাও নেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত আদালত থেকে মামলার কোনো কপি আমি পাইনি।

এর আগে ভুক্তভোগীর স্বজনরা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বা তার আত্মীয় স্বজন কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তারা যেটি বলছে তা গতানুগতিক কথা।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ ঢাকা টাইমসকে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে ঘায়েল করার জন্য প্রতিপক্ষরা এটি করাচ্ছে। ভুক্তভোগী ও মামলার বাদীকে তিনি চিনেন না বলেও জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :