কুয়াকাটায় খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, পানি নিষ্কাশন ব্যাহত

আব্দুল কাইয়ুম, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
 | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় কালভার্ট ও খাল দখল করে বিশালাকৃতির ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধসহ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কম্পিউটার সেন্টার সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ দখল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন দখল ও দূষণের কারণে পরিকল্পিত নগরায়ণ কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পৌরবাসীর। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় ভূমি প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে স্থানীয়রা জানালেও বন্ধ হয়নি নির্মাণ কাজ।

জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জামাল মাঝির ছেলে আলী হায়দার আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবহমান খালের উপরে বিশালাকৃতির একটি টং ঘর নির্মাণ করেছে। ওই টং ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে সদ্য নির্মাণ করা একটি বক্স কালভার্ট ঘরের নিচে চাপা পড়ে গেছে। আশ্রয়ণের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ওই এলাকার ফসলি জমিসহ জমে থাকা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত খালের দুই দিক দিয়ে দখলে নিচ্ছে সুবিধাভোগীরা। এতে খালটি সরু হতে হতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তদারকির অভাবে খালের পশ্চিম মাথা ভরাট করে দখলে নিয়েছে কতিপয় দখলবাজরা। পূর্ব দিকে করা হয়েছে মাছের ঘের। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে চলে আসছে এ দখল প্রক্রিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দখল দূষণের কারণে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে তা ভরাটের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দিন দিন যেভাবে খাল ভরাট ও দখল হয়ে আসছে তাতে আগামীতে খালের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না এমন মন্তব্য সচেতন নাগরিকদের।

খাল ও কালভার্ট দখল করে ঘর নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আলী হায়দার সাংবাদিকদের জানান, খালের ওপর টং ঘর নির্মাণ করেছেন তিনি এটা সত্য। তবে ঘরের নীচ দিয়ে পানি চলাচল করতে পারবে। কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনেও কোনো সমস্যা হবে না। তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে পৌর প্রশাসনসহ ভূমি অফিসের লোকজন অবগত রয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, এই খাল দিয়ে এই এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঘের নির্মাণসহ নানাভাবে দখল হয়ে গেছে খালটি। খাল রক্ষায় ভূমি কর্মকর্তারা উদ্যোগ না নেওয়ায় দখল রোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আ.ন.ম মুরাদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না। তার অফিসের অন্যরা জানতে পারে। কুয়াকাটা গিয়ে বিস্তারিত জানবেন।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তাকে জানায়নি। কাউন্সিলরের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তহশিলদার পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :