সালথায় তারাবির সময় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ২০

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
| আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:২৭ | প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:১৩

সন্ধ্যায় ইফতার ও তারাবির নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মুসল্লিরা যখন ব্যস্ত ঠিক তখন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের মদনদিয়া এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইশারত হোসেনের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইমারত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল।

ইশারত ও পিকুল আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা দুজনই গত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে ইরাশত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তাদের বিরোধ আরও তীব্র হয়। এই বিরোধের জেরে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দিন আগে পিকুলের সমর্থক ফজলু মাতুব্বরের সঙ্গে ইশারতের সমর্থক ওমর মোল্যার কথাকাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।

একপর্যায় রবিবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর উভয় গ্রুপের কয়েক শ সমর্থক দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, টেটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পাওয়া পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে সংঘর্ষের সময় হামলা চালিয়ে পিকুল, মিরাজ, ফজলু, বাশার মাস্টার, ওমর মোল্যা ও ইসমাইলের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি পাটকাঠির গাদায় অগ্নিসংযোগও করা হয়।

রবিবার রাত ১১টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল ঢাকা টাইমসকে বলেন, খবর পেয়ে ওসিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ১১ রাউন্ড ফাঁকা ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি টেটা, ১০টি কাতরা, ১১ টি বাঁশের লাঠি, ৫ টি ঢাল ও ১ টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এক গ্রুপের নেতা পিকুল মোল্যাসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ইশারত হোসেনসহ সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/প্রতিনিধি/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :