দুপুর ১টার আগেই ট্রেনের সব টিকিট শেষ

অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হতে না হতেই বেলা ১টার আগেই পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রবিবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। বেলা ২টা থেকে শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট।

প্রথম বারের মতো এবারই অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে, যা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকিটিং সিস্টেম থেকে জানা গেছে, বেলা ১টার আগেই ৩ এপ্রিলের সব ট্রেনের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।

একই দিন ১৩ এপ্রিলের ফিরতি ট্রেনের টিকিটও দেওয়া হচ্ছে।

২৫ মার্চ দেওয়া হবে ৪ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ মার্চ ৫ এপ্রিলের টিকিট, ২৭ মার্চ ৬ এপ্রিলের, ২৮ মার্চ ৭ এপ্রিলের, ২৯ মার্চ ৮ এপ্রিলের এবং ৩০ মার্চ ৯ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হবে।

রেলের ফিরতি যাত্রার ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ এপ্রিলের টিকিট যথাক্রমে ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিল পাওয়া যাবে।

ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার শাহ আলমগীর ঢাকা টাইমসকে বলেন, “আজও সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর রেলের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। বেলা ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। টিকিট বিক্রি চলবে যতক্ষণ টিকিট থাকবে ততক্ষণ।”

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের অগ্রিম টিকিট প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ৩ ট্রেন চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ২ ও ৪ চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে, ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল ৫ চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে, ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল ৬ ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৭ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৮ দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। এই ট্রেনগুলো ৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন এবং ঈদের পরের দিন থেকে পাঁচদিন চলাচল করবে।”

শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১১ ট্রেন ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ রুটে, শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১২ কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে, শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১৩ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে, শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১৪ কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধুমাত্র ঈদের দিন চলাচল করবে।

কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ৯ ট্রেনটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে, কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ১০ ট্রেনটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে। এই ট্রেন দুটি ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং ঈদের পরের দিন থেকে তিনদিন চলাচল করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট (eticket.railway.gov.bd) ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এইচএম/এফএ)