লংগদুতে কাঠবিড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাগান মালিক ও কৃষক

বিপ্লব ইসলাম, লংগদু, (রাঙ্গামাটি)
| আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫১ | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৯

রাঙ্গামাটির লংগদুতে কাঠবিড়ালীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক বাগান মালিকরা। কাঠবিড়ালিরা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে কৃষকদের স্বপ্নের ফসল বাগান মালিকদের বাগানের ফল।

লংগদু উপজেলার গ্রামীণ ফল আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেঁপে পেয়ারা থেকে শুরু করে সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের লাখ টাকার ফলজ সম্পদ খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে প্রতি ৩০ সেকেন্ড সময়ে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে বেড়ানো প্রাণী কাঠবিড়ালি। স্থানীয়ভাবে এদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সারাবছর পাহাড়ি এই জনপদের কৃষকসহ বেশিরভাগ মানুষের পুষ্টিকর ফল খাওয়া বাড়তি ফলন বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করার নিশ্চিত সুযোগ থাকার পরও তা নষ্ট করে দিচ্ছে কাঠবিড়ালি বানর এবং হনুমান। তবে লোকসমাগম এলাকায় অন্য প্রাণীদের ভয় থাকলেও কাঠবিড়ালি একদমই ভিতু নয়।

স্থানীয়দের মতে, গ্রামীণ অর্থনীতির আশানুরূপ উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র এই প্রাণীটির।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই কৃষক ফলজ বাগানের মালিকদের কাঠবিড়ালি প্রতিরোধের স্থানীয় কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অপূরণীয় ক্ষতি নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে।

উপজেলার অর্ধশতাধিক কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে কাঠবিড়ালির বেপরোয়া এবং লাগামহীন ক্ষতিসাধনের কথা জানা গেছে।

তারা জানান, কাঠবিড়ালির হাত থেকে ফসল ফল রক্ষা করতে অনেকেই শব্দ বা ঘণ্টা ব্যবহার করছেন। তবে প্রায় একযুগ ধরে ব্যবহার করা এসব সনাতনী পদ্ধতি এখন আর কোনো কাজে আসছে না।

একসময় প্রাণীটি মানুষের আনাগোনায় ভয় পেত, ফলন খেয়ে ফেলতো রাতের বেলায়, এখন রাতদিন সমানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ছোট দেহের প্রাণীটির।

অসময়ে উৎপাদন হয় এমন ধরনের মূল্যবান ফল ফসল নির্বিচারে খেয়ে নষ্ট করছে কাঠবিড়ালি। এতে করে আর্থিকভাবে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে লংগদু উপজেলার অসংখ্য ভুক্তভোগীদের।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :