সাতক্ষীরার দুটি উপজেলায় চলছে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। অল্প কিছু সংখ্যক পুরুষ ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
এদিকে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছে। অভিযোগের তীরে জর্জরিত বিভিন্ন প্রার্থী। তবে সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী (ঘোড়া প্রতীক) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন (আনারস প্রতীক)। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার দুই লাখ ৪৭ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৫ হাজার ৪১৬ জন, নারী ভোটার রয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৩৯৫ জন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছেন দুজন।
অপরদিকে সুন্দরবন ঘেঁষা শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাঈদ-উজ্জামান সাঈদ (আনারস প্রতীক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাংলা (ঘোড়া প্রতীক) ও শ্যামনগর পূজা উপযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কৃষ্ণপদ মণ্ডল (হেলিকপ্টার)। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৮৮ হাজার ৪৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৬ হাজার ১৭১ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৪২ হাজার ২৯২ জন। এছাড়াও হিজড়া ভোটার রয়েছে তিনজন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কোনো কেন্দ্রে পাঁচজন, কোনো কেন্দ্রে চারজন, কোনো কেন্দ্রে তিনজন অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবে এবং সাথে থাকবে আনসার সদস্যরা। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ১৮ থেকে ২০ জন পুলিশসহ আনসার সদস্য থাকবে। এছাড়া থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবি, ডিবি ও র্যাব সদস্য। প্রতিটি ইউনিয়নে একটা মোবাইল ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম থাকবে। একজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং এবং এসআইর নেতৃত্বে মোবাইল থাকবে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালনা করা হবে মোবাইল কোর্ট। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজিবুল আলম বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। আজকের নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনি এলাকার ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঘাটতি নেই।
(ঢাকা টাইমস/০৮মে/প্রতিনিধি/এসএ)