ঈদকে ঘিরে সাজছে সমুদ্রকণ্যা কুয়াকাটা, চলছে সড়ক উন্নয়ন

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০১

পদ্মাসেতুর দ্বার খুলে দেওয়ার পর থেকে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে কয়েকগুণ। টানা ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় এসে ভিড় জমান পর্যটকরা।

কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের হয়রানি রোধে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন পৃথক সভা করেছে। পর্যটকের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।

পর্যটকদের বরণে সাজসজ্জায় নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে। তবে ঈদে পর্যটকের বেশ সাড়া পাচ্ছেন প্রথম সারির হোটেল গুলো। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে এখনও কোনো বুকিংয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এতে হতাশা ব্যক্ত করলেও ঈদের টানা ছুটিতে রমযানের লোকসান কেটে ওঠার স্বপ্ন বুনছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। যার ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটা পর্যটক কেন্দ্রকে ঘিরে পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক দৃশ্যের এক তীর্থস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। যেখানে একই স্থানে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বিরল দৃশ্য। কুয়াকাটা সৈকতে আগত পর্যটকদের আধুনিক সেবাদান এবং চিত্ত বিনোদনে চলছে সৈকত এলাকায় উন্নয়ন অবকাঠামো। পৌর এলাকায় পর্যটক চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে প্রশস্তকরণসহ বাকি থাকা কিছু কাচা রাস্তা পাকা করার কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কুয়াকাটায় ভ্রমণে আগত পর্যটকের পৌর শহরের মূল কেন্দ্রে ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন দেখা গেছে, পর্যটক যাতায়াতের প্রধান সড়কে ভোগান্তি নিরসনে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট সংলগ্ন একটি পার্শ্ব রাস্তা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে যা ঈদের আগেই সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে পর্যটক চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রশস্তকরণসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হচ্ছে যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ধারণাতীত উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। সৈকতের মূল কেন্দ্র থেকে পূর্বে জাতীয় উদ্যান ফটক পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন লেক ও পার্কসহ বিনোদনের নানা মাত্রা যোগ করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা।

কুয়াকাটা পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, কোস্টাল টাউন প্রকল্পের আওতায় ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য প্রকল্প ব্যয়ে আরও ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে কুয়াকাটা পৌরসভা। এই প্রকল্পের আওতায় যে সকল পরিকল্পনা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে কুয়াকাটা পাল্টে যাবে, হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্র সৈকত। এমনটাই জানিয়েছেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার।

এদিকে পর্যটকের সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। কুয়াকাটায় চলমান বছরে পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট চালু হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে বিশেষ দিনগুলোতে আগত পর্যটকের আর আবাসন সংকট দেখা দিবেনা। এছাড়াও নিরলস কাজ করছে আবাসিক হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছে কুয়াকাটা।

(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :