পরিবার ছাড়াই ঈদ কাটবে তাদের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, খেলার মাঠ, মূল ফটক, মুক্তমঞ্চ কিংবা গোল চত্বরে এখন আর নেই প্রাণোচ্ছল আড্ডা। সবখানে সুনসান নীরবতা।
আসছে ঈদুল ফিতর। এ ঈদ উপলক্ষে দায়িত্বের দায়বদ্ধতা থেকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের এই ত্যাগই মনে করিয়ে দেয়, মানুষ একে অপরের জন্য।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৮ মার্চ থেকে ছুটি ঘোষণা হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকলেও ব্যতিক্রম নিরাপত্তাকর্মীদের ক্ষেত্রে। তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে ঈদের দিনেও। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে অংশ নিতে পারবেন না অধিকাংশ নিরাপত্তাকর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তা কর্মীদের ২২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এবং ৪৯ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। এরমধ্যে ঈদের ছুটি পেয়েছেন মাত্র ৮ জন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন সদস্যের প্রত্যেকে সপ্তাহে একদিন ছুটি ভোগ করবে।
ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে কথা হয় আনসার সদস্য মোহাম্মদ জামাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি একটু হতাশ হয়েই বলতে শুরু করলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বের কারণে এখনও এখানেই আছি। পরিবার কিছুটা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছে তবুও দায়িত্বের কারণে যেতে পারছি না। এবারের ঈদ পরিবার পরিজন ছাড়াই করতে হবে। মন তো খারাপ হয়ই কিছুটা তবুও কিছু করার নেই।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার জানান,'পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাদের বিশেষ খাবারের জন্য আমরা ৩০০ টাকা করে ভাতার ব্যবস্থা করেছি। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাইকে একসঙ্গে ছুটি দেওয়া সম্ভব না। ঈদের পর রোটেশন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা হবে।'
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন