ঢাকামুখী ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কেও চরম ভোগান্তি

ঈদযাত্রায় ভিড় এড়াতে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের ২৯ কিলোমিটারে বাইপাস করেও যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকামুখী বিভিন্ন পরিবহন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দুই লেন হওয়ায় যানজট এড়াতে গতবারের ন্যায় এবারও ঢাকামুখী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এবার এই আঞ্চলিক সড়কেও বেড়েছে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।
মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। বেলা যত ঘনিয়ে আসে ততই যানজট ও গাড়ির সারি দীর্ঘ হয়। যদিও ঢাকামুখী যানবাহনগুলো যাত্রীশূন্য।
সরেজমিনে আঞ্চলিক মহাসড়কের পালিমা, সয়া, নারান্দিয়া, সিংগুরিয়া, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড, গোবিন্দাসী স্কুল ও টি-রোড, মাটিকাটা, সিরাজকান্দি ও পাথাইকান্দি/যমুনা সেতু বাজার এলাকায় থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এনিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে বেগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে সেতু পূর্ব গোলচত্বরে এসে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে যানজটে পড়েছি। এই আঞ্চলিক মহাসড়ক একমুখী হলেও স্থানীয় যানবাহন চলাচলের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
নাটোর থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের চালক মিজানুর রহমান বলেন, ভূঞাপুর-আঞ্চলিক সড়কেও অনেক যানজট। সেতু পূর্ব থেকে গোবিন্দাসী আসতে ১ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে। এ সড়কেও পথে পথে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে এই আঞ্চলিক মহাসড়কে এলাকাভিত্তিক পরিবহনগুলোও চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। তবে যানজট রোধে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ভিড়ের কারণে টোলপ্লাজা এলাকা থেকে খুব ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। এর পাশাপাশি ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কেও ঢাকামুখী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। যার কারণে থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।’
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন