তিন দশক পেরিয়ে দিব্যা ভারতীর মৃত্যু আজও এক রহস্য
বিয়ের এক বছরের মাথায় মাত্র ১৯ বছর বয়সে কি খুন হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী? মুম্বাইয়ে দশতলার ফ্ল্যাট থেকে কীভাবে তিনি নীচে পড়ে গিয়েছিলেন? তার মৃত্যুর জন্য কি প্রযোজক স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালাই দায়ী? অভিনেত্রীর মৃত্যুর ৩১ বছর পর এমন নানা প্রশ্ন আজও ঘুরে বেড়ায় বলিউডের অলিগলিতে।
কিশোরী দিব্যা ভারতী তার একরাশ লাবণ্য, মিষ্টি হাসি, দক্ষ অভিনয় দিয়ে সহজেই জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকের মনে। ১৯৯০ সালে তেলুগু ছবি ‘ববিলি রাজা’ দিয়ে শুরু ষোড়শী দিব্যার। বলিউডে পা রাখেন ১৯৯২ সালে ‘বিশ্বাত্মা’ ছবিতে। তিন বছরের ঝলমলে ক্যারিয়ারে ‘দিওয়ানা’, ‘শোলাহ অউর শবনম’, ‘রং’, ‘দিল কা কায়া কসুর’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি।
অকালমৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২১টি ছবিতে কাজ করেন দিব্যা ভারতী। বলিউডে কান পাতলে এখনো শোনা যায়, আরও অন্তত ৩০টি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল তার। সেই সময়ের বলিউডের নিরিখে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকের তালিকাতেও ছিল দিব্যার নাম।
‘শোলা অউর শবনম’-এর সেটেই সাজিদের সঙ্গে আলাপ দিব্যার। নায়ক গোবিন্দর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এই প্রযোজক। প্রথম দেখাতেই তাকে ভালো লেগে যায় কিশোরী দিব্যার। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে দিব্যার মা জানান, প্রথম দেখার কয়েকদিন বাদেই সাজিদকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাবার অনুমতি নিতে বলেন মা। স্বভাবতই বাবা ঘোরতর আপত্তি জানান।
১৯৯২ সালের ১০ মে। বাড়ির অমতে গোপনেই সাজিদকে বিয়ে করেন সদ্য ১৮-তে পা রাখা দিব্যা। গাঁটছড়া বাঁধার কিছুক্ষণ আগে মাকে ফোন করে জানান সে কথা। আইনি বিয়েতে মা-কে সাক্ষী থাকতেও বলেন। কিন্তু বাবাকে বিষয়টি না জানিয়ে সাক্ষী হিসেবে সই করতে রাজি হননি তিনি।
বাবার কাছে বিয়ের বিষয়টি বহুদিন পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিলেন দিব্যা। বিবাহিত নায়িকা থাকছিলেন মা-বাবার সঙ্গেই। মাঝেসাঝে দেখা হতো স্বামীর সঙ্গে। ফলে বাবা বুঝতেই পারেননি বিয়ে হয়ে গেছে মেয়ের। দিব্যার মৃত্যুর কয়েক মাস আগে দীপাবলির দিনে তাদের বাড়িতে যান সাজিদ। তিনিই ফাঁস করেন বিয়ের খবর। সেই প্রথম বাবা জানতে পারেন, বিয়ে সেরে ফেলেছেন অভিনেত্রী মেয়ে!
পরের বছরের ৫ এপ্রিল আসে সেই ভয়ানক মুহূর্তটি। মুম্বাইয়ে নিজের দশতলা ফ্ল্যাটের জানালা থেকে নীচে পড়ে যান ১৯ বছর বয়সী দিব্যা ভারতী। গত ৫ এপ্রিল তার মৃত্যুর ৩০ বছর পার হয়েছে। সেদিন কী করে ঘটেছিল এমন ঘটনা? অভিনেত্রীর মৃত্যু আত্মহত্যা, নাকি খুন? এখনো প্রশ্ন হয়েই থেকে গেছে, উত্তর মেলেনি আজও।
(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এজে)