বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে স্মৃতিকাতর শাহরিয়ার নাফিস, আছে আক্ষেপও

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮
অ- অ+

আগামী মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার পর জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। লম্বা সূচিকে সামনে রেখে ফিটনেস পরীক্ষা দিলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের রাডারে থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার আজ রানিং পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদদের মতো একাধিক তারকা ক্রিকেটার। অবশ্য পরে এসব ক্রিকেটারদের সুযোগ থাকছে ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার।

আজ শনিবার সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের সহকারী ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিসও। এবার বিসিবির একজন কর্মকর্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পা রেখেছেন তিনি। তবে এই মাঠে ক্রিকেটার নাফিসের অনেক স্মৃতি আছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক গৌরবগাঁথা রচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। তবে ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে এখন আর ক্রিকেট হয় না। সবশেষ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরপর থেকে ব্যাট-বল যেন নির্বাসিত এই মাঠ থেকে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পুরোপুরি ফুটবল স্টেডিয়ামে রূপ নেয়ায় থেমে যায় ক্রিকেটারদের আনাগোনা। ১৯ বছর পর আবারও ক্রিকেটাররা ফিরলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। তবে ক্রিকেট খেলতে নয়। জাতীয় ক্রিকেট দলের ফিজিকাল পারফরম্যানস অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে স্প্রিন্টস ও টাইম ট্রায়ালে।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার নাফিস। ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে পা রেখে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফিরে গিয়েছিলেন প্রায় ২ দশক আগের স্মৃতিতে।

নাফিস বলেন, 'বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে ভালো লাগছে। আমাদের জীবনে খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া, খেলা দেখে শেখা সব এই স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই। এখনও মনে আছে খুব সম্ভবত ১৯৯৩ বা ১৯৯৪ এ প্রথম এই মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলাম। কাজিনরা যেহেতু খেলতেন। ফারুক (আহমেদ) ভাই জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের যে আইকনিক প্লেয়াররা ছিলেন তাদের দেখে খেলা শুরু এই মাঠেই।'

নাফিসের ঘরোয়া ক্রিকেটের শুরু এখানেই। এই মাঠে খেলা একটি ইনিংসই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল নাফিসের ক্যারিয়ারের। তবে সেই সঙ্গে সাবেক এই ওপেনারের একটি আক্ষেপও আছে। এই মাঠে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি তিনি।

সেই আক্ষেপের কথা জানিয়ে নাফিস বলেন, 'আমার বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এখানেই শুরু। আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যে ইনিংসটা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলন ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সেটাও এই মাঠে। আমি জাতীয় দলের কোনো খেলা পাইনি এখানে এটা আমার বড় আফসোস। শুধু আমার না বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন মানেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। এখানে এলে ভালো না লাগার কোনো সুযোগই নেই।'

এদিকে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম-ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নেই তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ ওইভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জের ঘটনা এত পরিমাণে হবে গোয়েন্দা তথ্য ছিল না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শ্যামলীতে দিনদুপুরে ছিনতাই, চাপাতি, বাইকসহ গ্রেপ্তার ৩
বগুড়ায় দাদি ও নাতি বউকে গলা কেটে হত্যা  
যাত্রাবাড়ীতে ২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা