ফরিদপুরে দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ। মধুখালী সদর থেকে ডুমাইন পঞ্চপল্লীর উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিলটি যাত্রা শুরু করে। কিছু দূর এগোতেই পথিমধ্যে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুড়লে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এভাবে বেশ কয়েকঘণ্টা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়। তাদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় গুরুতর একজনকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এতে মহাসড়কের দুই প্রান্তে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী সাধারণ।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলমসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
মধুখালী সদর থেকে কামারখালী পর্যন্ত মহাসড়কের ১২ কিলোমিটারজুড়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী খণ্ড খণ্ড অংশে অবস্থান নেয়।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে তাদের সঙ্গে বারবার কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি বলেন, আপনারা যে দাবিতে আন্দোলন করছেন আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করব। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনের এই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমদাদ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী সদর থেকে কামারখালী পর্যন্ত পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা সড়কটি অবরোধ করে রাখার চেষ্টা করেন। পুলিশ কোথাও কোথাও বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার কোথাও কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। আমরা দুপুর ৩টার মধ্যে সড়কটি পুরোপুরি অবরোধমুক্ত করি। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/কেএম)