প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রীর ভাই: সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে কোম্পানীগঞ্জের আ.লীগ ও জনগণকে বাঁচান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার আকুল আবেদন, আপনি কোম্পানীগঞ্জের জনগণকে বাঁচান, আওয়ামী লীগকে বাঁচান। ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করুন, নির্ভেজাল সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যারা কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে তাদের হাত থেকে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ মুক্তি দিন।
রবিবার বিকালে বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বড় রাজাপুরে তার নির্বাচনি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আবেদন করেন।
এসময় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মেয়র আমার ছেলে আসাদ হোসেন নিশাতকে হত্যার চেষ্টা করেছে।
শাহাদাত হোসেনের দাবি, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে তার হেলমেট-হাতুড়ি বাহিনীর লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে তার ছেলে আসাদ হোসেন নিশাতের (২৫) ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার ছেলে আসাদ হোসেন নিশাত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সে কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছে। সে কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। শনিবার (২৫ মে) রাত ৯টায় সে বসুরহাট হাইস্কুল মাঠে তার বন্ধুদের সঙ্গে বসে সময় কাটাচ্ছিল। এ সময় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনীর ৮০-৯০ জন সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে মারধর করে। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। উপস্থিত লোকজনের কারণে তা পারেনি। মেয়র মির্জা তাকে মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, আমার ছেলেকে আঘাত করার পর ২ মিনিটের মধ্যে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা কীভাবে সেখানে উপস্থিত হয়? মেয়রের ছেলে নিজেও তার বাবার ষড়যন্ত্রের অংশীদার ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাশিক মির্জা কালো রঙের একটি গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করে। গাড়িটিকে সে ‘টর্চারসেল’ বানিয়েছে। যারাই আমার টেলিফোন মার্কার ভোট করছে, তাদের ওই গাড়িতে উঠিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হাত-পা ভেঙে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ছেলেকে হত্যাচেষ্টার পর আমি নোয়াখালী ডিসির কাছে ফোন করেছি। তিনি ফোন ধরেননি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির কাছে ফোন করেছি। ওসি বলেন মামলা নিতে পারব না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন বলেন, সেতুমন্ত্রী আমার ফোন ধরেন না। কাদের মির্জা সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রীকে ৩ বছর আগে অনেক অপমান করেছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সারাদেশে মান সম্মান নষ্ট করেছে। আমরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারি না। সে মন্ত্রীকে কন্ট্রোলে রেখেছে। তার কথা না শুনলে লাইভে গিয়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাখে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ ভাই। আমাদের ছোট ভাইকে (দেলোয়ার) কাদের মির্জা মেরে ফেলেছে। ইচ্ছা করে মেরে ফেলেছে। সে আবার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলে, মন্ত্রী নাকি আমার ছোট ভাইকে মেরে ফেলেছে। কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগে চোর, বাটপার ও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। রোহিঙ্গা তানভীর, হামিদ ও মোহনসহ নষ্ট চরিত্রের অনেককে কাদের মির্জা নেতা বানিয়েছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জের প্রতিটি সেক্টরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা চাঁদাবাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৬মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন