এবার চামড়ার দাম পেতে পারেন ব্যবসায়ীরা

ঈদুল আজহায় জবাই করা পশুর চামড়ার ভালো দাম পেতে পারেন ব্যবসায়ীরা। চামড়া কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে এ বছর ফড়িয়াদের আনাগোনা কম। বিগত কয়েক বছর চামড়া নিয়ে কেঁদেছেন শতশত মৌসুমী ব্যবসায়ী। তবে এবছর রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় পুরাতন সেই দৃশ্য চোখে পড়েনি। আবার স্থানীয় তরুণদের চামড়া কেনার তোড়জোড়ও চোখে পড়েনি।
সোমবার ঈদের দিন বিকালে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় দেখা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন আমির হোসেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ী আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন পোস্তায়। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি তাকে।
চামড়ার দাম কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে আমির বলেন, ‘দাম ঠিক আছে। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিচ্ছে। সাইজ যেটা ভালো, সেটা আরেকটু বেশি দিচ্ছে।’
আমির হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।
এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে৷ লবনযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
নতুন দর অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম সর্বনিম্ন ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা থেকেই আসছে বেশির ভাগ চামড়া। পোস্তায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চামড়াবাহী ট্রাকের বেশির ভাগই বিভিন্ন এলাকার মসজিদ মাদরাসার। হাতে গোনা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী এসেছেন।
চামড়ার আকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুনছেন।
আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের ভাষ্য, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।
তবে কোরবানি ও কোরবানির বাইরে পশু জবাইকারীরা বলছেন, তারা প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। লাখ টাকার গরুর চামড়াও ৪০০ টাকার বেশি দিচ্ছেন না মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এসএস/এসআইএস)

মন্তব্য করুন