পশুর হাটে ভারতীয় গরু প্রবেশের শঙ্কায় খামারিরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২৪, ১৫:৩৩
অ- অ+

কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, খামারিদের ব্যস্ততা ততোই বাড়ছে। পশুকে আকর্ষণীয় করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে যত্নের কোনো ঘাটতি রাখছেন না। নিয়ম করে গরু-মহিষকে কাঁচা সবুজ ঘাস, ভুসি, খৈল, ফিডসহ অন্যান্য খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু দেশের কোরবানির হাটে আসার শঙ্কায় রয়েছেন উত্তরের সীমান্তবর্তী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খামারিরা।

অবৈধভাবে আসা ভারতীয় গরু কোরবানির হাটে প্রবেশ করলে তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন বলেও জানান।

কিন্তু শঙ্কা থাকলেও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে তাদের লালন পালন করা পশু বিক্রি। পশুর হাটে বেশি দামে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন প্রান্তিক খামারিরা এমন প্রত্যাশা করছেন। তবে শেষ মুহূর্তে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আসতে পারার বিষয়টি খুব ভাবাচ্ছে তাদের।

প্রতিবেশী দেশ থেকে যাতে গরু আসতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন তারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা, উচনা, কড়িয়া ও নন্দইল সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা উপেক্ষা করে এক শ্রেণির অসাধু চোরাকারবারিরা গরু নিয়ে আসে।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু পাচার করে পাঁচবিবি ও জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রির চেষ্টা করে। এজন্য সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবির চোখ ফাঁকি দেওয়াসহ নানা কৌশল অবলম্বনও করে থাকেন চোরাকারবারিরা।

পাঁচবিবি উপজেলার ঘোড়াপা গ্রামের প্রান্তিক খামারি রেজুয়ান হোসেন জানান, আমার মতো অনেক খামারি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর আলাদা যত্ন নিচ্ছেন। নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হচ্ছে গরু-মহিষ ও ছাগলের। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকেও নেওয়া হচ্ছে খোঁজখবর। তবে ভারতীয় গরু বাজারে প্রবেশ করলে এই পরিশ্রম বৃথা যাবে। আমরা খামারিরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, খামারিদের রক্ষা করতে অবৈধ গরু প্রবেশ বন্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। না হয় খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বে।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় কোরবানির জন্য ৭৫ হাজার ৬শ' ৭০টি পশু প্রস্তুত করেছেন ছোট বড় খামিরিরা। এর মধ্যে ষাঁড় ৭ হাজার ৫শ', বলদ ৭ হাজার ৫শ' ছাগল ৪০ হাজার, ভেড়া ১০ হাজার এছাড়া অন্যান্য পশু ১০ হাজার ৬৭০টি।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিয়ায কাযমীর জানান, কোরবানি পশুকে অসদুপায়ে মোটাতাজা না করার জন্য আমরা বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছি। তাছাড়া ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে নিম্নমানের ওষুধ সামগ্রী না রাখার বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। তবে কয়েক দফায় গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

ভারতীয় গরু প্রবেশের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা ইতোমধ্যে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবি কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। ভারতীয় গরু প্রবেশ ঠেকাতে না পারলে স্থানীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অবৈধ পথে ভারত থেকে চোরাকারবারিরা যেন গরু আনতে না পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকা কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/প্রতিনিধি/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ববির নবনিযুক্ত উপাচার্যের যোগদান
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ-উত্তোলন-বিক্রয় নিষিদ্ধ 
গত ৮ মাসে পাচার হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা: মির্জা আব্বাস
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই: তথ্য উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা