লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের কোরবানির পশুর হাট

​​​​​​​রামগঞ্জ প্রতিনিধি (লক্ষ্মীপুর), ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ জুন ২০২৪, ২১:১০
অ- অ+

ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরই মাঝে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। গত কয়েক দিন হাটগুলোতে তেমন একটা মানুষের আনাগোনা না থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা ভিড় করছেন পশুর হাটগুলোতে।

প্রতিদিন জেলার স্থানীয় পশুরহাটগুলোতে প্রচুর গরু ওঠতে দেখা গেছে। প্রতিটি হাটে উল্লেখযোগ্য দেশী গরুর সরবরাহ দেখা গেছে। তবে দেশী গরুর পাশাপাশি বিদেশি গরুও রয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, এখন কোরবানির জন্য ভারত, মিয়ানমার ও ভূটান থেকে দেশে গরু-মহিষ কম আসছে। ফলে কোরবানির বাজার পুরোপুরি দেশীয় পশু নির্ভর হতে যাচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত হাটগুলোতে বিদেশি গরুর আসতে না পারলে এবার দেশীয় গরুর খামারিরা লাভবান হতে পারবেন। এতে আগামী দিনে খামারিরা গরু পালনে আরও উৎসাহী হবে। লোকসানের মুখে পড়তে হবে না স্থানীয় খামারিদের। এছাড়া বিক্রেতারা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু দাম কিছুটা বেশি।

অপর দিকে ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরু ও খাসীর দাম অনেক বেশি। পশুর এমন উচ্চ মূল্যের কারণে অনেক ক্রেতাই হতাশা প্রকাশ করেছেন।

ইমামগঞ্জ নাগেরহাট গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পছন্দের পশুটি কিনতে অনেকেই এসেছেন হাটে, কেউ একা এসেছেন, কেউ এসেছেন দলবেঁধে। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী এ হাটটিতে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই উপস্থিতি যেন ঈদ উৎসবেরই অংশ মনে হয়েছে। ইমামগঞ্জ নাগেরহাট গরুর বাজার ছাড়াও জেলার প্রতিটি হাটেই পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। দাম যাই হোক শেষ পর্যন্ত পছন্দের পশুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা, আবার অনেকেই দাম বেশির কারণে কিছুটা অপেক্ষা করার চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। অপরদিকে গো-খাদ্যের সংকটের কারণে অনেক ক্রেতাই এখন গরু কিনছে না। তাদের মতে ঈদের দু-এক দিন আগে গরু ক্রয় করবেন তারা।

লক্ষ্মীপুর ইমামগঞ্জ নাগেরহাট গরুর বাজারে গরু ক্রয় করতে আসা টিপু সুলতান জানান, গত বছরের চেয়ে গরুর দাম এ বছর আরও বেড়েছে। গতবার মাঝারি গরু ক্রয় করতে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাগলেও এ বছর সেই গরু ক্রয় করতে ৮০-৯০হাজার টাকা লাগছে।

লক্ষ্মীপুরে প্রতিটি উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এই সব পশুরহাটে স্থানীয় পাইকার ও ব্যাপারীরা ছাড়াও দেশের দূরদূরান্ত থেকে বহু পাইকার ও ব্যাপারীরা গরু ও খাসি এনে বিক্রি করে থাকেন।

এদিকে হাটগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরধারীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের ইমামগঞ্জ নাগেরহাট পশুর হাট কর্তৃপক্ষ জানান, ছিনতাই-চাঁদাবাজী ঠেকাতে ও হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কুমুদ রঞ্জন মিত্র বলেন, লক্ষ্মীপুরে এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৬৬ হাজার ৯১৫টি। স্থানীয় বিভিন্ন খামারে উৎপাদিত পশুর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬৯৪টি। চাহিদার বাকি পশু অন্যান্য জেলা থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, হাটগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে। জাল নোট ঠেকানোর জন্য পুলিশের নজরদারি রয়েছে। এছাড়া ব্যাপারীদের পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/প্রতিনিধি/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাঙ্গাবালীতে অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস, জরিমানা
নাফ নদে দুই দফা আরাকান আর্মির গুলি, আহত ২ অপহৃত ৩ বাংলাদেশি
বাউফলে তাল গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
আ.লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সুমন করিম গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা