বিশ্বকাপ ফাইনাল: শিরোপা জিততে বিরাটের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ ভারতের

ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত, মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। এরপর বিরাটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। বড় ম্যাচের খেলোয়াড় কোহলি আবারও বোঝালেন কেন তিনিই প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। ৫৯ বলে ৭৬ রান করে নিজের দলকে ঠিকই নিয়ে গিয়েছেন বড় স্কোরের কাছে। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে দলটি। প্রথম শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান।
শনিবার (২৯ জুন) ব্রিজটাউনে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। ফাইনালে এসে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়ার টপ অর্ডার। মাত্র ৩৪ রানেই সাজঘরে ফিরে যান রোহিত শর্মা, ঋষব পান্ত ও সূর্যকুমার যাদব। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন বিরাট কোহলি ও অক্ষর প্যাটেল। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৭৫ রানের জুটি। অক্ষর প্যাটেল ৪৭ রানে ফিরে গেলেও অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন তিনি। অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর ৭৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ের পর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত।
ফাইনালে ভারতের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ব্যাটিংয়ে নেমেই এই দুই ব্যাটার প্রোটিয়া ব্যাটারদের ওপর তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করেন। প্রথম ওভারেই তারা তুলে নেন ১৫ রান। তবে পরের ওভারেই এই জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ। কেশব মহারাজের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে হেনরিক ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান রোহিত শর্মা। আউট হওয়ার আগে করেন ৫ বলে ৯ রান। তার বিদায়ে ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
রোহিতের বিদায়ের একবল পরেই সাজঘরে ফিরে গেলেন ঋষব পান্তও। কেশব মহারাজের বলে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্রাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানেই ফিরে গেলেন তিনি। তার বিদায়ে ২৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত।
২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন বিরাট কোহলি। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি কাগিসো রাবাদা। কাগিসো রাবাদার বলে হেনরিক ক্লাসেনের হাতে ক্রাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব। আউট হওয়া আগে করেন ৪ বলে ৩ রান। তার বিদায়ে ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারায় ভারত।
৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন অক্ষর প্যাটেল ও বিরাট কোহল্। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারত। এই জুটির কল্যাণে ১৩ ওভার ১ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করেছে ভারত। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছিল এই জুটি। তবে দলীয় শতক পূর্ণ হওয়ার পরেই ভেঙে গেলো এই জুটি। দলীয় ১০৬ রানে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে থাকা অক্ষর প্যাটেল। আউট হওয়ার আগে করেন ৩১ বলে ৪৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৭৫ রানের জুটি।
অক্ষর প্যাটেলের বিদায়ের পর শিবাম দুবেকে নিয়ে লড়াই চালিযে যেতে থাকেন ভারত। পুরো বিশ্বকাপে ছন্দে না থাকলেও ফাইনালে জ্বলে ওঠেন বিরাট। ফাইনালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪৮ বলে তিনি তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। এই জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিল ভারত। অবশেষে এই জুটিকে থামান মার্কো জানসেন। মার্কো জানসেনের বলে কাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ৫৯ বলে ৭৬ রান করা বিরাট। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
বিরাটের বিদায়ের পর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ ২টি, আনরিখ নর্কিয়ে ২ টি, মার্কো জানসেন ১ টি ও কাগিসো রাবাদা ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৯ জুন/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন