নবজাতকটি লালনপালনের দায়িত্ব পাবে কে?

টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক প্রবাসীর বাড়ির পাশ থেকে একটি নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ কেউ ছেলে নবজাতকটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বর্তমানে তাকে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার উপজেলার কাশিল মধ্যপাড়া এলাকার প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়ির আঙিনা থেকে সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।
নবজাতকটির সঙ্গে হাসপাতালে গেছেন ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম, তার ছেলে আকাশ ও আকাশের স্ত্রী নার্স লিমা আক্তার।
জানা যায়, প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়ির গোসলখানার সামনে ভোরে নবজাতকটি দেখতে পান তার স্ত্রী নিলুফা বেগম। পরে তিনি বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে তারা সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকটি সেখান থেকে তুলে বাড়ি নিয়ে যান।
খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন সেখানে ভিড় জমান। অনেকে নবজাতকটিকে দুই লাখ টাকায় কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে নিলুফা বেগম শিশুটিকে লালনপালন করবেন বলে জানান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়িটি রাস্তা থেকে অনেক ভেতরে। একাধিক বাড়ির ওপর দিয়ে তার বাড়িতে যেতে হয়। ওই বাড়িতে নবজাতকটি কীভাবে এল সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বাড়ির মালিক প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম বলেন, ‘আমি ভোররাতে ঘরের বাইরে বের হলে মাটিতে পড়ে থাকা শিশুটিকে কান্না করতে দেখি। পরে আমার ছেলে ও ছেলের বউকে ডেকে আনি। ওই সময় শিশুটির শরীর ও কানে পিঁপড়া ছিল। ভালোভাবে শরীর ধুয়ে ও পরিষ্কার করে ঘরে নিই।’
দুই সন্তানের মা নিলুফা বেগম আরও বলেন, ‘এই বাচ্চাটিকে আমার নিজ সন্তানের মতো করে লালনপালন করতে চাই।’
কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমজান মিয়া বলেন, ‘নবজাতকটি কে বা কারা রেখে গেছে তা জানা যায়নি। যার বাড়িতে শিশুটি পাওয়া গেছে, তিনিই শিশুটিকে লালনপালন করবেন বলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। পরে পুলিশ এসে নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’
বাসাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, ‘নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা এলে শিশুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নবজাতকটিকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরুখ খান বলেন, নবজাতকটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা প্রশাসক।
(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/মোআ/এসএ)

মন্তব্য করুন