বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই খুন করা হয় বগুড়ার স্কুলছাত্র তামিমকে

বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই খুন করা হয় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার স্কুলছাত্র তামিমকে (১৩)।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছে হত্যাকারী এমদাদুল হক।
সে শেরপুর উপজেলার দক্ষিণ আইন গ্রামের খাদেমুল ইসলামের ছেলে।
নিহত তামিম একই গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। সে কেল্লাপোষী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে তামিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মূলত বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই স্কুল ছাত্র তামিমকে হত্যা করে এমদাদুল। হত্যার পর লাশ পাটের বস্তায় ভরে পুকুরে ভাসিয়ে দেয়। পরদিন হত্যাকারী নিজেই পুকুরের মালিককে বস্তা ভেসে বেড়ানোর সংবাদ দেয়। পরে পুকুর থেকে বস্তার মুখ খুলে উদ্ধার করা হয় স্কুলছাত্র তামিমের লাশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জাকির হাসান আরও জানান, তামিম পুকুর পাড়ের ঘর থেকে মাছের কিছু খাবার চুরি করে। বিষয়টি আসামি এমদাদুল দেখে ফেলে। পুকুর মালিককে ধরে দেওয়ার ভয় দেখায় এবং তামিমকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বলে। ভয়ে সে স্বীকার হয়। আসামি এমদাদুল স্কুলছাত্র তামিমকে পুকুরপাড়ের ওই ঘরের মধ্যে বলাৎকার করে। এ সময় তামিম কান্নাকাটি-চিৎকার শুরু করলে এমদাদুল দুই হাত দিয়ে তামিমের গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে আসামি তামিমের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে আসামি ওই ঘরে থাকা বস্তার মধ্যে তামিমের লাশ ভরে পুকুরের মাঝখানে নিয়ে ফেলে দেয় ।
নিহত তামিমের স্বজনেরা জানান, বুধবার (১০ জুলাই) সকালে অসুস্থ মায়ের জন্য পানি আনতে ঘর থেকে বের হয় তামিম। এরপর বাসায় নে ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। একদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুরের আমইন গ্রামে ওই স্কুল ছাত্রের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বস্তাবন্দি ভাসমান কিছু দেখতে পায় গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বস্তার মুখ খুলে তামিমের লাশ শনাক্ত করে৷ এ ঘটনার হত্যাকারী সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন স্বজনেরা।
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/পিএস)

মন্তব্য করুন