কোটা আন্দোলন: রবিবার গণপদযাত্রা ও রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪৩| আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ১৯:৩৭
অ- অ+

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে রবিবার গণপদযাত্রা রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দেবেন আন্দোলনরত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে গণপদযাত্রা শুরু হবে। ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করবেন। ছাড়াও একই দাবিতে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে সারজিস আলম জানান, আপনাদের দাবির প্রতি শিক্ষার্থীরা একাত্মতা পোষণ করেছিল। এখন আপনাদের সময় এসেছে ছাত্রদের আন্দোলনে আপনাদের একাত্মতা পোষণ করার। এমন পরিস্থিতি যেন না হয় যে, শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছেন।

আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, পুলিশ আমাদের সংবিধানিক অধিকার আদায়ের পথে দেওয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ আন্দোলনে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে ছাত্রদের উস্কে দিচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার রেকর্ড বক্তব্য শুনিয়ে তিনি বলেন, ছাত্ররা সাঁজোয়া যানে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করেনি। মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে মামলা করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারের উচিত ছিল প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু সরকার এখন আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে। যেকোন ধরনের পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি।

মামলার বিষয়ে নাহিদ বলেন, মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক মামলার বিষয়ে পুলিশের জবাবদিহি চাই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মামলা প্রত্যাহার চাই। তিনি বলেন, শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে গেলেও আমরা ক্লাসে ফিরব না। আমাদের আন্দোলন চলবে।

এক দফা দাবিতেবাংলা ব্লকেডকর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলোসরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম (সর্বোচ্চ শতাংশ) পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এসকে/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পল্লীবন্ধু এরশাদ চিরকাল মানুষের হৃদয়ে কণক প্রদীপ হয়ে জ্বলবেন
চাঁদা না দেওয়ায় পল্লবীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ: গ্রেপ্তার ৩
ছন্দে ফিরলেন লিটন, সমতায় ফিরল টাইগাররা
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা