সহিংসতায় মাদারীপুরে ক্ষতি ৪০ কোটি টাকা, পুড়েছে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা
মাদারীপুরে দুই দিনের সহিংসতায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি জানান, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিন কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে পড়ে একদল নাশকতাকারী। তারা ব্যাপক তান্ডব চালায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ট্রাফিক পুলিশ বক্স, বাস কাউন্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তেলের পাম্প, সার্বিক বাস ডিপো, পুলিশ ফাঁড়ি ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিটি সেন্টারে আগুন দেওয়ায় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যায় অন্তত ৩২টি বিলাসবহুল বাস।
এই ঘটনায় শনিবার জেলা প্রশাসন থেকে গঠন করা হয় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান করা হয় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার রহমানকে। এছাড়া বাকি দুই সদস্য হলেন- এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. নুর হোসেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার রাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের হাতে রিপোর্ট দেন কমিটির সদস্যরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে ছাত্রলীগ, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় বিভিন্ন এলাকা। প্রতিটি হামলার ঘটনায় অংশ নেয় শত শত মানুষ। এতে রোমান বেপারী ও তাওহীদ সন্ন্যামাত নামে দুইজন মারা যায়। এছাড়া পুলিশের তাড়া খেয়ে লেকের পানিতে ডুবে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। অর্ধশত পুলিশসহ আহত হয় শতাধিক।
এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দুই শতাধিক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি দেড় থেকে দুই হাজার। এখন পর্যন্ত ৮২জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টানা দুই দিন রণক্ষেত্রের পর মাদারীপুরে স্বস্তি ফিরেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে তল্লাসি চৌকি। কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এজে)