ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বশে রাখে গাজর! হার্ট থাকে সুস্থ-সবল
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএল সবার রক্তেই থাকে। তবে তা বিপদসীমার নীচে থাকলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু যদি এলডিএল ১০০ এমজি/ডিএল-এর গণ্ডি পেরিয়ে যায়, তাহলে ঘোর বিপদ। এমন পরিস্থিতিতে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে জমতে পারে এই উপাদান। ফলে সেই অংশে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়। এমনটা হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
তাই সুস্থ থাকতে কোলেস্টেরল লেভেলকে বশে রাখতেই হবে। সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে গাজরের মতো একটি উপকারী সবজি। ভাবছেন নিশ্চয়ই, কীভাবে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এই সবজি? সেই উত্তরেই রইল এই নিবন্ধটিতে।
ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার
এই সবজিতে রয়েছে– ভিটামিন, বায়োটিন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। এছাড়া রয়েছে উপকারী কিছু উদ্ভিজ্জ উপাদান। যেমন- বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লিউটিন, লাইকোপেন, পলি অ্যাসিটিলিনেস ও অ্যান্থোসায়ানিন ইত্যাদি। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত এই সবজি খেতেই হবে।
কোলেস্টেরল থাকবে বশে
এই সবজিতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। এই উপাদান খাবারে মজুত ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে অন্ত্রে বেঁধে ফেলে। তারপর মলের মাধ্যমে বের করে দেয়। ফলে কোলেস্টেরল বাড়ার সুযোগ পায় না।
শুধু তাই নয়, গাজর হলো বিটা ক্যরোটিন থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। এসব উপাদানও কোলেস্টেরল লেভেলকে বশে আনে। যার ফলে সুস্থ-সবল থাকে হার্ট। তাই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই এই সবজিকে জায়গা করে দিন।
তবে শুধু গাজর খেলেই হবে না। এছাড়া কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে চাইলে যেসব নিয়ম মানতেই হবে।
ফাস্টফুড চলবে না
আমাদের মধ্যে অনেকেই বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, পিৎজা, বার্গারের দিওয়ানা। এসব খাবার নিয়মিত খান বলেই তাদের শরীরে পিছু নেয় একাধিক জটিল অসুখ। এমনকি বাড়ে কোলেস্টেরল লেভেল। তাই এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডসকে বাগে আনতে চাইলে সবার প্রথমে ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করুন। এমনকি ঘি, মাখনের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাটও কম খান। তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
পাতে থাকুক ফাইবার রিচ খাবার
কোলেস্টেরলকে বশে আনতে চাইলে ডায়েটে রাখুন আটার রুটি, ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, ডালিয়া বা ওটসের মতো খাবার। সেই সঙ্গে শাক, সবজি এবং ফলের উপরও রাখতে পারেন ভরসা। কারণ, এসব খাবার ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আঁতুড়ঘর। যে কারণে এগুলো খেলেই কোলেস্টেরল কমে। নিম্মমুখী হয় সুগার। তাই তো বিশেষজ্ঞরা ডায়েটে এসব খাবারকে জায়গা করে দেওয়ার পরামর্শ দেন।
দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম মাস্ট
সারাদিন শুয়ে, বসে থাকলে কোলেস্টেরল কমবে না। বরং এই সমস্যাকে বশে আনতে আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম মাস্ট। এই সময়টুকু জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন। কিংবা বাড়িতে করতে পারেন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ। এসবে অনীহা থাকলে শুধু হাঁটুন, সাইকেল চালান বা সাঁতার কাটুন। তাতেই শরীর দ্রুত সুস্থ সবল হয়ে উঠবে।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/এজে)