ঢাকার সব মন্দিরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবী দল
গত দুদিন ধরেই সারাদেশে সংলাঘুদের ধর্মীয় উপসনালয় পাহারা দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (আইএবি) সহযোগী সংগঠন ছাত্র ও যুব আন্দোলন। রাজধানী ঢাকায় এই কার্যক্রম আরও পরিকল্পিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
এই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাজধানীর সব মন্দির ও আশ্রমে ১০ জন করে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল মোতায়েন করেছে চরমোনাই পীরের অনুসারী এই ছাত্র সংগঠনটি।
ঢাকার মহানগর সর্বজনীন কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপের প্রার্থনাকারী শ্রী নিহার চন্দ্র হালদার জানান, চরমোনাই পীর সাহেবের ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ১০ জন করে প্রতিনিধি ঢাকার বিভিন্ন মন্দিরে বসানো হয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
এভাবে সারা বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকদের হিন্দু তথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে নিহার হালদার বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশের যেসব স্থানে হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে, প্লিজ অনুরোধ করছি, আপনারা তাদের পাশেও থাকুন।’
এদিকে ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদেরকে নিহার হালদার ‘স্বাধীন দেশে মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে’ প্রশ্ন করেছেন জানিয়ে বলেন, তিনি উত্তর পেয়েছেন— ‘‘আপনারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু বলবেন না আপনারা আমাদের ভাই। দেশটা নয়তো কারো বাপের ভিটা, করবেই মন চাহিলে যখন যেটা।’’
এ বিষয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজী বলেন, ‘সব সময় একটা কুচক্রী মহল আমাদের সম্প্রতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ লুট করে এবং হিন্দু-মুসলিম সামাজিক বিভেদ তৈরির চেষ্টা করে। দেশের বিরুদ্ধে দেশী-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুষ্টু চক্র সব সময় এই কাজে সক্রিয় থাকে। বিগত সরকারগুলোর ঘৃণ্য রাজনীতি ও বিচারহীনতার কারণে এই প্রবণতা বন্ধ হয়নি। এখন দেশে একটা বিশেষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখনো ওই দুষ্ট চক্র সক্রিয় হয়েছে। তাই আমরা সারাদেশ আমাদের সংখ্যালঘু ভাইদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি।’
নুরুল বশর আরও বলেন, ‘আমাদের আমিরে মুহরাতাম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নির্দেশে আমরা সারাদেশে দেশের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংখ্যালঘু ভাইদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। কিছু কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন দুয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোও ক্ষতিপূরণ এবং নতুন করে আর যেন অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সেই বিষয়ে আমাদের কর্মীরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।’
এই ছাত্রনেতা জানান, ঢাকার মন্দিরগুলোতে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি করে দল নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ছাত্র ও যুব আন্দোলনের কর্মীরা রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৮আগস্ট/এসআইএস)