ইউনাইটেডকে হারিয়ে ৫ বছর পর কমিউনিটি শিল্ড সিটিজেনদের
মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট কমিউনিটি শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়েছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটডকে। নির্ধারিত সময় ১-১ সমতায় শেষ হয়। ইউরোতে সুইজারল্যান্ডের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন যে ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, তিনিই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। আর এতেই ম্যানচেস্টারের নীলে রঙ্গীন লন্ডন। তিন হার আর পাঁচ বছর পর সপ্তমবার কমিউনিটি শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হলো সিটিজেনরা।
ইউনাইটেডকে হারিয়ে গত মৌসুমে এফ এ কাপ ফাইনাল হারের বদলাও নিয়েছে সিটি। পিছিয়ে থেকেও দীর্ঘতর টাইব্রেকারে জয় তাদের। পেপ গার্দিওলার অধীনে আরো একটি সাফল্য। যেখানে টানা দু’বছর টাইব্রেকারে নিস্পত্তি হয়েছে কমিউনিটি শিল্ডের।
প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়ে আর টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষের শট ফিরিয়ে আশা জাগানো রেড ডেভিলদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ১৬ শটের টাইব্রেকারে বার্নার্দো সিলভার শট ঠেকিয়ে নায়ক হয়েছিলেন আন্দ্রে ওনানা। কিন্তু এডারসন রক্ষা করেন সিটিকে।
তবে নিজেকে দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন জনি ইভানস। ক্রসবারের উপর দিয়ে যায় তার শট। ম্যানুয়েল আকাঞ্জির শট জালে জড়াতেই জেগে ওঠে ওয়েম্বলি। ৭৮ হাজারেরও বেশি দর্শক সাক্ষী হয়েছেন অসাধারণ ফাইনালের।
প্রায় সমানে সমানে এগিয়ে চলা ম্যাচে ইউনাইটেড সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান আলেসান্দ্রো গার্নাচো। বদলি নেমে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড অনেকটা একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে দেন দলকে।
পিছিয়ে পড়ে চিন্তিত হলেও আশা হারাননি গার্দিওলা। শিষ্যদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। আরেক বদলি বারনার্দো সিলভা ম্যাচে ফেরান সিটিজেনদের। নির্ধারিত সময় শেষের মাত্র এক মিনিট আগে।
প্রথমার্ধে অবশ্য দু’দলের কেউই পোস্ট বরাবর একটিও শট নিতে পারেনি। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে গত আট বছরে যা প্রথম। শেষ চার কমিউনিটি শিল্ডের তিনটাই প্রথমার্ধ গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য শুরুতেই ব্রুনো ফার্নান্দেজ সে কাজটা করেছিলেন। এমনকি জালেও জড়িয়েছিল তার শট। কিন্তু গোল বাতিল হয় অফসাইডে। এগিয়ে যাওয়া হয়নি ইউনাউটেডের। সেই দূর্ভাগ্য শেষ পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হয়েছে তাদেরকে।
(ঢাকাটাইমস/১১ আগস্ট/এনবিডব্লিউ)