ধামরাইয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে আফিকুল ইসলাম সাদের মৃত্যুতে ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৮২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০/৯০ জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে সাদের মৃত্যু হলেও কোনো পুলিশকে আসামি করা হয়নি।
বুধবার রাতে নিহত শিক্ষার্থী আফিকুল ইসলাম সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেছেন।
এদিকে সাদের মৃত্যুতে ধামরাই থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখকে আসামি না করায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ধামরাইয়ের ছাত্র-জনতা।
মামলার বিষয়ে নিহত শিক্ষার্থী সাদের নানা বলেন, আমি চাই প্রকৃত আসামির শাস্তি হোক। আমার নাতি পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এটা সবাই জানে। ওসির নির্দেশ ছাড়া কোনো পুলিশ সদস্য গুলি করেনি। হত্যা মামলায় আমি ওসির নাম দিতে বলেছি। কেন দেয়নি সেটা আমি বুঝতে পারিনি। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ধামরাইয়ের পৌর এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করে সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতো আফিকুল ইসলাম সাদ। গত ৫ তারিখ সকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় আন্দোলনকারীদের উপর গুলি ছুড়ে এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় শিক্ষার্থী আফিকুল ইসলাম সাদ, পরে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ দিন পরে মারা যায় সে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মালেক, পৌর মেয়র গোলাম কবির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস।
(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন