সৌদি আরবে আটক ৮ প্রবাসীর মুক্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ চায় পরিবার
সৌদি আরবে আটককৃত আট প্রবাসী বাংলাদেশির মুক্তি ও কর্মস্থলে ব্যবসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়। বৈষম্যবিরোধী এই ছাত্র আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশ এবং দেশের বাইরে সব বাংলাদেশিরা বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেন। ঠিক তেমনিভাবে সৌদি আরবের মাহাইল, আবাহাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে গত ১৬ আগস্ট বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের সমর্থনে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজক আট বাংলাদেশিকে আটক করে নিয়ে যায় মাহাইল থানার পুলিশ। যারা গত ২৩ দিন ধরে সৌদি আরবের কারাগারে আটক আছেন। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের আটকের কারণে তাদের পরিবার অসহায় দিন যাপন করছেন বলে জানান তিনি।
সৌদি পুলিশের হাতে আটক হওয়া সেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা হচ্ছেন:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, হাফেজ রহমতুল্লাহ, মো. খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার সেলিম উল ইসলাম, মাওলানা ইউসুফ ও বান্দরবান থানার মো. আশরাফুল ইসলাম।
আটককৃত এই আট বাংলাদেশির মুক্তির জন্য সৌদি আরবের মাহাইল পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা ছাড়া আটককৃতদের মুক্তি সম্ভব নয় বলে দাবি করেন তারা। ফলে এ বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তৎপর ভূমিকা পালন করলে আটককৃত প্রবাসীরা মুক্তি পাবেন বলে প্রত্যাশা করে ভুক্তভোগীদের পরিবার।
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এমআই/এমআর)