প্রেমিকাকে ফিরিয়ে নেওয়ায় বাসের নিচে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ দিলেন প্রেমিক!

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:২২

মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিকার সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার নাহিদ হোসেন নামের ২০ বছর বয়সি যুবক। নাহিদের জন্য তার প্রেমিকা প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার পথ পাড়িও দিয়েছিলেন।

কিন্তু পরিবারের লোকজন প্রেমিকাকে ফেরত নিয়ে যাওয়ায় অভিমানে চলন্ত বাসের নিচে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাহিদ।

সোমবার সকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কুড়াহাল গ্রামের হাবিল মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

জানা গেছে, নাহিদ হোসেনের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের এক মেয়ের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে ওই মেয়েটি রবিবার মুন্সিগঞ্জ থেকে প্রেমিক নাহিদের বাড়ি আসেন। তারা নওগাঁ দুবলহাটি নাহিদের নানার বাড়িতে যান।

এদিকে মেয়েটির স্বজনরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধারে একটি মাইক্রো নিয়ে রাতেই আসেন নাহিদের বাড়িতে। সেখান থেকে নাহিদ ও তার প্রেমিকার অবস্থান জেনে তারা মাইক্রো নিয়ে নওগাঁর দুবলহাটি নাহিদের নানার বাড়ি যান। সেখান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে নাহিদসহ ওই মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে সোমবার ভোরে দুবলহাটি থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

মেয়ের স্বজনরা সকাল সাড়ে ৭টায় নাহিদ হোসেনকে অদমদীঘির ফায়ার স্টেশনের কাছে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিয়ে তাদের মেয়ে নিয়ে চলে যান। এরপরই প্রেমিকাকে হারিয়ে অভিমানে নাহিদ হোসেন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে একটি চলন্ত বাসের নিচে ঝাপিয়ে পড়লে বাসচাপায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মঈন উদ্দীন জানান, ‘আমরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ঘটনার আগে মেয়ের পরিবারের লোকজন এবং ছেলের পরিবারের লোকজন সবাই কথা বলেছিল। সেখানে ছেলের এলাকার লোকজনও ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়েকে নিয়ে মাইক্রোতে করে চলে যায়। এমন সময় নাহিদ এ ঘটনা ঘটনায়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে।’

(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :